মোছাব্বর হাসান মুসা, বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এলাকায় বর্তমান আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান এসএম রূপম ও যুবলীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত নব্য আওয়ামীলীগ নেতা আবু জাফর মন্ডল আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এ আধিপতৌকর বিস্তার করেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।

জানা যায়, সোমবার রাতে দাড়িদহ বাজারে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান এসএম রূপম গ্রুপের সমর্থক আজহারুল ইসলাম নান্টু (৪০) কে রাত ৯টার সময় প্রতিপক্ষ আবু জাফর এর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে এলোপাথারী চা-পাতি, রা দা ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে সে মাথায় ও ঘারে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এলাকাবাসী উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দিলে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা এলাকার ব্যবসায়ীদের দোকানের আলোর ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে প্রায় ৫/৭টি দোকান ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। এঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেল আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অনুরোধ করেন এবং কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীরা পুনরায় দোকান পাট খুলে ব্যবসা বাণিজ্য চালু করেন। মঙ্গলবার হাটবার হওয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। নিহত নান্টু মিয়া নিয়ামতপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে । বৈবাহিক জীবনে, স্ত্রী সুমাইয়া (৩০) ও ১ মেয়ে, ৩ ছেলে রেখে গেছেন। এদের মধ্যে হাসান আলী ও হোসেন আলী নামে ২ বছরের জমজ শিশু রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জন শীল ব্যক্তি এ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ায় পরিবারটির অসহায় হয়ে পড়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই রাত থেকেই এলাকায় অতিরি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে