টিপু সুলতান নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

তৃতীয়ধাপে পশ্চিম বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি তিন প্রার্থীর মাঝে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১২.৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা নন্দীগ্রাম। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭ জনসহ ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্যানেল মেয়র মো. আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র জগ প্রতীকের মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল।গত ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে পোষ্টারিং, মাইকিং, জনসংযোগসহ প্রচার প্রচারণা। চলছে অভিনব কায়দায় নানা প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে মাঘের শীতকে উপেক্ষা করে প্রচারণায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে। রয়েছে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগও।এবারের নির্বাচন নন্দীগ্রাম পৌরসভার চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন। বিগত তিন নির্বাচনে এই পৌরসভায় বিএনপি ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়লাভ করেছেন। আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থীই এখনো জয়ের মুখ দেখতে পারেনি। তারপরও এবার নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজনই ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তারা তিনজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম পৌরসভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেয়া হবে। এতে ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৪৫টি বুথে ভোট নেয়া হবে। নির্বাচনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯শ৪৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭হাজার ৬শ ১৭জন আর নারী ভোটার ৮ হাজার৩শ২৭জন।উল্লেখ্য, বিগত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, ২০১১ সালে বিএনপি নেতা সুশান্ত কুমার সরকার, ২০০৪ সালে বিএনপির প্রার্থী বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের পুর্ব পর্যন্ত কামরুল হাসান সিদ্দিকী পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে