Dhaka ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফসলের দাম আশানুরূপ হওয়ায় কৃষকেরা খুশি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮৭ Time View

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দাম আশানুরূপ হওয়ায় খুশি তারা।

উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার হিসাবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম। এই উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮১৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে। আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ব্যাপক ভাবে নতুন ধানের ক্রয়-বিক্রয় চলছে।

কৃষকরা তাদের ধান ভটবটি, মিনি ট্রাক ও ভ্যান গাড়িতে করে হাটগুলোতে নিয়ে আসছে। অনেকেই হাট-বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বাড়ি থেকেও বিক্রি করছে তাদের উৎপাদিত ধান।

সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, কাটারিভোগ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৪৯ ও ৫১ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত।

কৃষকরা জানান, ধানের এ বাড়তি দামে তারা বেজায় খুশি । রণবাঘা হাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ৩০ মণ কাটারিভোগ ধান বিক্রির জন্য এনেছি। ব্যাপারীরা ১১২০ টাকা মণ দাম বলছে। আমি ১১৫০ টাকা মণ হলে বিক্রি করবো।

কৃষক দুলাল চন্দ্র বলেন, ধানের দাম বেশ ভালোই আছে। তবে ধানের ফলন কম। কৃষকরা এই দামে আমন ধান বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করেছে। এ উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আমন মৌসুমে উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ২৮১ মেট্রিকটণ ধান। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফসলের দাম আশানুরূপ হওয়ায় কৃষকেরা খুশি

Update Time : ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দাম আশানুরূপ হওয়ায় খুশি তারা।

উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার হিসাবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম। এই উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮১৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে। আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ব্যাপক ভাবে নতুন ধানের ক্রয়-বিক্রয় চলছে।

কৃষকরা তাদের ধান ভটবটি, মিনি ট্রাক ও ভ্যান গাড়িতে করে হাটগুলোতে নিয়ে আসছে। অনেকেই হাট-বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বাড়ি থেকেও বিক্রি করছে তাদের উৎপাদিত ধান।

সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, কাটারিভোগ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৪৯ ও ৫১ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত।

কৃষকরা জানান, ধানের এ বাড়তি দামে তারা বেজায় খুশি । রণবাঘা হাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ৩০ মণ কাটারিভোগ ধান বিক্রির জন্য এনেছি। ব্যাপারীরা ১১২০ টাকা মণ দাম বলছে। আমি ১১৫০ টাকা মণ হলে বিক্রি করবো।

কৃষক দুলাল চন্দ্র বলেন, ধানের দাম বেশ ভালোই আছে। তবে ধানের ফলন কম। কৃষকরা এই দামে আমন ধান বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করেছে। এ উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আমন মৌসুমে উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ২৮১ মেট্রিকটণ ধান। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে আশা করছি।