টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে চলছে। পাশাপাশি কৃষকদের ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের আমেজ।

বগুড়া জেলার শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এ উপজেলায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এবারো তাই হয়েছে। এ উপজেলার কৃষকরা অতি গুরুত্বের সাথে ধানের চাষাবাদ করে। ধান এ উপজেলার কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন বলা হয়।

উপজেলার প্রতিটি মাঠ আমন ধান সোনালী রূপ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এখন আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত উপজেলা কৃষকরা। আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮২ হাজার ৯৬২ মেট্রিকটণ ধান। নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৩৪ ও কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করে থাকে। এ উপজেলার কৃষকরা ধানের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তাই বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করে থাকে। এবারো এ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১লা অগ্রহায়ণ থেকে কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব। নবান্ন উৎসবে নতুন চালের পিঠা, পুলি ও পায়েসসহ নানা রকমের খাবার তৈরী করা হয়ে থাকে। নবান্ন উৎসবে জামাই-ঝি ও আত্মীয়-¯^জনদের আমন্ত্রণ করে ধুমধামে খাওয়ানো হয়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব এ উপজেলার কৃষকরা যুগযুগ ধরে পালন করে আসছে।

এ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে নতুন চালের মৌমৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যনিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছি। কৃষকরাও আমন ধান উৎপাদনে আন্তরিক ছিলো। তাই এবারো এ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বর্তমান বাজার মূল্যে কৃষকরা অনেক খুশি রয়েছে। ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা মণ দরে ধান বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলার ভাদুম গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম, ডেরাহার গ্রামের কৃষক সোহাগ আলী, তেঘরী গ্রামের কৃষক উজ্জল হোসেন ও পুটু মিয়া জানিয়েছে, প্রতি বিঘায় ১৫/১৬ মণ করে ধান হয়েছে। এ উপজেলায় উৎপাদিত ৭০ ভাগ ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে