বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। এ কারণে অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে বর্তমান সবজির বাজার।
এদিকে বাজারে সবজির আমদানীও অনেক বেড়েছে। হাট-বাজারে নতুন চালের আমদানী হলেও কিছুতেই দাম কমছে না। যা বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়। আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের শুরু থেকে এখনো চাল চড়া দামেই বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নন্দীগ্রামে প্রায় সবধরনের শীতকালীন সবজির দাম অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রয় হচ্ছে। এর ফলে স্বস্তি ফিরে আসে ক্রেতাদের মাঝে।
বর্তমানে বেগুন ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, পাতাকপি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মুলা ১০ টাকা ও আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন বাজার মনিটরিং করে। কিন্তু এতেও আলুর দাম এখনো স্থিতিশীল হয়নি। নতুন আলু বাজারে উঠলে আলুর দাম স্থিতিশীল হতে পারে। সবজির মতো মাছের বাজার এখন অনেকটা স্বস্তিতেই রয়েছে। হাট-বাজারে (আকারভেদে) প্রতি কেজি শিং মাছ ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, মৃগেল মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতলা মাছ ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, সিলভারকার্প মাছ ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারা সবজি ও মাছের বাজারে খুশি হলেও চালের বাজারে খুশি নয়। হাট-বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫৮ টাকা, কাটারিভোগ চাল ৫৫ টাকা ও ৪৯ চাল ৫০ টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলার কুন্দারহাট-বাজার করতে আসা আব্দুল মতিন জানিয়েছে, সবজির দাম কমায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজির দাম অর্ধেকে নেমেছে। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজনের জন্য বেশ উপকার হচ্ছে।