Dhaka ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১৫ Time View

টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুরিয়া থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর নাম শামিমা আক্তার (২৩)। আজ বুধবার সকালে তাঁর নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, শামিমা সোনাপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। কিছুদিন আগে একই গ্রামের রেহেনার কাছ থেকে ছয় মাসের এক শিশুকে তিনি দত্তক নেন। রেহেনা সন্তানের ভরন পোষণের জন্য শামিমাকে ৩০ হাজার টাকাও দেয়। কিন্তু তিন মাস যেতেই শামিমা জানায়, তিনি আর ওই শিশুকে লালন পালন করতে পারবেন না। এতে রেহেনা ৩০ হাজার টাকাসহ সন্তান ফেরত চান। শামিমা টাকা ফেরত দেবেন না বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার রেহেনার বোন সফুরা বেগম শামিমার বাড়িতে গিয়ে টাকাসহ সন্তান ফেরত চান। তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রেহেনার পরিবারের লোকজন শামিমার বাড়ি থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই শামিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ১১:৫৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুরিয়া থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর নাম শামিমা আক্তার (২৩)। আজ বুধবার সকালে তাঁর নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, শামিমা সোনাপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। কিছুদিন আগে একই গ্রামের রেহেনার কাছ থেকে ছয় মাসের এক শিশুকে তিনি দত্তক নেন। রেহেনা সন্তানের ভরন পোষণের জন্য শামিমাকে ৩০ হাজার টাকাও দেয়। কিন্তু তিন মাস যেতেই শামিমা জানায়, তিনি আর ওই শিশুকে লালন পালন করতে পারবেন না। এতে রেহেনা ৩০ হাজার টাকাসহ সন্তান ফেরত চান। শামিমা টাকা ফেরত দেবেন না বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার রেহেনার বোন সফুরা বেগম শামিমার বাড়িতে গিয়ে টাকাসহ সন্তান ফেরত চান। তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রেহেনার পরিবারের লোকজন শামিমার বাড়ি থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই শামিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।