টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব আনন্দ মুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।
নতুন ধান ঘরে আসার পর গ্রাম বাংলায় আদিকাল থেকেই যুগ যুগ ধরে এই নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। মঙ্গলবার ১ লা অগ্রহায়নে বিভিন্ন স্থানে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হলেও আজ বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব। নবান্ন উৎসবকে ঘিরে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে মধুর আতিথিয়তা।
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করা হয়। আর এই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আনন্দ ঘন পরিবেশে আত্মীয়রা একে অপরের বাড়িতে বাজার থেকে মাছ, মাংস ও হরেক রকমের মিষ্টি কিনে নিয়ে হাজির হয়।নন্দীগ্রামের উমরপুর বাজার ও রনবাঘা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দোকানিরা বিভিন্ন মিষ্টান্ন সামগ্রী ও মাছ, মাংসের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছে। এছাড়া ছোট বাচ্চাদের বক্সে গান বাজিয়ে নাচ গান করতেও দেখা গেছে। এদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই নবান্ন উৎসব কে ঘিরে বাজারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রকারভেদে রুই,কাতলা, ব্রিগেড, ছিলভার কাপ, চিতল, ও বোয়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। সৌখিন ক্রেতাগন বড় মাছ কিনতে মাছ বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
বর্তমানে মুসলিম সমাজের এই নবান্ন উৎসব পালনের রেওয়াজ কিছুটা কম দেখা গেলেও সনাতন ধর্মাম্বলবীরা এই নবান্ন উৎসব প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে আজও উদযাপন করে আসছে। তাই তারা নবান্ন উৎসব পালনকে ঘিরে পরিবার সমাজে নানা আয়োজন করে থাকে। উপজেলার রনবাঘা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আইনুল ও মওলা বক্স জানান নবান্ন উপলক্ষে বাজারে ১৪ কেজি ওজনের বাঘার মাছ বিক্রি হয়েছে ১৫হাজার ৫০০ শত টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য প্রজাতির মাছ প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নতুন ধান কৃষকরা ঘরে তুলে যুগ যুগ ধরে আবহমান গ্রাম বাংলায় প্রানের স্পন্দন নবান্ন উৎসব পালন করে আসছে।কারন এটা গ্রাম বাংলার প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।