আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ জোরদার ও নিরাপদ বিমান চলাচলে ফ্রান্স থেকে কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম। এরই মধ্যে এয়ার ফ্রান্সের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য চুক্তির খসড়া অনুমোদন হয়েছে। নতুন রাডার সিস্টেমে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রমকারী সব উড়োজাহাজ শনাক্ত করা সম্ভব হবে। স্যাটেলাইট নির্ভর রাডার বসলে এয়ার-ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও উন্নয়ন আসবে।
৩৬ বছরের পুরনো রাডার ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে চলছে আকাশ যোগাযোগ। সে কারণেই আকাশে নিয়ন্ত্রণও সীমিত।
এখনকার রাডারটির যোগাযোগ সক্ষমতা সর্বোচ্চ ২০০ নটিক্যাল মাইল আর উড়োজাহাজ দেখতে পারে মাত্র ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। এই সীমার বাইরের উড়োজাহাজ ধরা পড়ে না। তাই আকাশ সীমায় সক্ষমতা বাড়াতেই নতুন রাডার কিনছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানালেন, সক্ষমতা না থাকায় বিশাল আকাশসীমা এলাকা নিয়ন্ত্রণহীন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আকাশসীমায় এখন ট্রাফিক বেড়ে গেছে এবং ট্রাফিক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটাকে ম্যানেজমেন্ট করার জন্য এখন দরকার ডিজিলাইস্ট ও অটোমেটিক সিস্টেম। এই জিনিসটা এখন আমাদের অন্তর্ভুক্ত নাই। সেটা আসলে নতুন একটা আধুনিকায়ন হবে এবং উড্ডয়ন ব্যবস্থাটা নিরাপদ হবে।
রাডার কেনার সব ধরনের প্রস্তুতিই নেয়া আছে। নতুন রাডার সিস্টেম সরবরাহ করবে ফ্রান্সের থ্যালাস কোম্পানি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আকাশসীমা যা আছে তা এখন বড় হয়েছে। আবার আমাদের এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমটা অনেক পুরনো। এটাকে রিপ্লেস করার জন্য সরকার নতুন রাডার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের ফলে ফরাসি সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের যে কৌশলগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেয়া হয়েছে।
নতুন রাডার সিস্টেমে আকাশ সীমা নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ সক্ষমতা দুটোই বাড়বে।