স্টাফ রিপোর্টার: জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী তার ফেসভ্যালু ব্যবহার করে সুবিধা ‘বাগিয়ে’ নিয়েছেন বলেই মনে করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ডা. সাবরিনা তার ফেসভেল্যুটাকে ক্যাপিটালাইজড করেছে। চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গায় যে তার পরিচিতি রয়েছে সেটা দিয়েই সে প্রতারণা করেছে। করোনার এই সময়ে সে একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছে।’

আব্দুল বাতেন বলেন, তারা (আরিফ-ডা. সাবরিনা) যে প্রজেক্ট অনুযায়ী করোনাভাইরাস আক্রান্তদের কাছ থেকে যেভাবে নমুনা সংগ্রহ ও সেবা দেওয়ার কথা ছিল, তারা সেভাবে দেয়নি। এই তদন্তের প্রথম দিকে রয়েছে, আমরা তদন্ত করে যদি ক্রিমিনাল অফেন্স পাই সে বিষয়ে ক্রিমিনাল রেকর্ডে নিয়ে আসবো। আর যেগুলো বিভাগীয় অপরাধ ও অনিয়ম সেগুলো আমরা লিখিত অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় জানাবো।’

সাবরিনা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কীভাবে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে ছিল- সে বিষয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে এমন কোনও কর্মকর্তা যদি তার দায়িত্বের ব্যতয় কিছু করে করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তার সংশ্লিষ্ট দফতর ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা তার বিষয়ে যে তথ্য পেয়েছি সেটি স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় লিখবো। তারা দেখবেন এটা ক্রিমিনাল অফেন্স নাকি বিভাগীয় অফেন্স।

এটা তারাই দেখবেন, তারাই ব্যবস্থা নেবেন। তারা যদি ক্রিমিনাল কোনও অফেন্সের ব্যবস্থার জন্য আমাদের কাছে আসেন, অবশ্যই আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’ সাবরিনা নিশ্চয় কোনও না কোনও জায়গায় সহযোগিতা পেয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের তদন্তের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে