ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বলেন, “আমি আশা করি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগ-দুর্ঘটনার বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ১৯ নভেম্বর থেকে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি শুভেচ্ছা জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প, অগ্নি দুর্ঘটনা, নৌযান দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ যে কোন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। এ কারণে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমুখী ও কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে। আমরা ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ২০৬টি থেকে ইতোমধ্যে ৪৩৫টিতে উন্নীত করেছি। নির্মাণ সম্পন্ন আরো বেশ কিছু ফায়ার স্টেশন চালুর অপেক্ষায় আছে। ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বিভাগের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারেও আমরা ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২০’-এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।