পাকিস্তানে গিয়ে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেই রান পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সে ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল মুলতান সুলতানস।

আজও (১৫ নভেম্বর) করাচিতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। 

এর আগে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে-অফ খেলতে করাচিতে পৌঁছে দু’দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ১৩ নভেম্বর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবাল। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে নেমে সেদিন ৩৮ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।

পরেরদিন শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে প্রথম এলিমিনেটরে পেশোয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় এলিমিনেটরে ওঠে তামিম ইকবালের দল। ব্যাট হাতে এদিন ১০ বলে ১৮ রান করেন টাইগার ওয়ানডে ক্যাপ্টেন।

আজ সেই মুলতানের বিপক্ষে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তোলেন তামিম। ফখর জামানের সঙ্গে খেলা শুরু করতে নেমে প্রথম ওভারেই বাউণ্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন ১০ রান। দ্বিতীয় ওভারে মুলতানের সফল বোলার সোহেল তানভীরকে কাভার দিয়ে দুর্দান্ত এক বাউণ্ডারি হাঁকিয়ে দলের রানকে নিয়ে যান ১৯-এ।

পরের ওভারে ইলিয়াসকে গালি অঞ্চল দিয়ে পরপর দুই বাউণ্ডারি হাঁকিয়ে দলের রানকে পৌঁছে দেন ২৭-এ। যেখানে চার বাউণ্ডারিতে নিজের রান ১৪ বলে ২২। পরের ওভারে সোহেল তানভীরকে আবারও ধোলাই করেন তামিম ও ফখর। চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ১৫ রান তুলে নেন দুজনে মিলে। যাতে ৪ ওভারে লাহোর কালান্দার্সের রান গিয়ে পৌঁছে ৪২-এ।

পঞ্চম ওভারে আক্রমণে আসেন আরেক বাঁহাতি পেসার জুনাইদ খান। প্রথম বলটি ডট দিলেও পরের দুই বলে তিন রান নিয়ে ননস্ট্রাইকে চলে যান তামিম। এরপরের বলে ফখার জামান সিঙ্গেল নিলে ফের স্ট্রাইকে আসেন তামিম।

ওভারের তখন পঞ্চম বল। অপেক্ষায় তামিম। কোমর লেভেলে উঠে আসা বলটি অনেকটা স্কয়ার লেগের দিকে প্যাডেল পুল করতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু না, ঠিক মতো হলো না। টপ-এজ হয়ে গেলেন তামিম। মাথার অনেক উপরে ওঠা বলটি ধরে ফেলেন স্লিপ থেকে ছুটে আসা খুশদিল শাহ।

সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। নামের পাশে তখন ২০ বলে ৩০ রান। দলের রান তখন ৪৬। আউট হওয়ার আগে পাঁচটি চার মারেন তামিম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভারে লাহোরের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৯৭ রান। ফখর জামান ৩৮ রানে ক্রিজে আছেন। দলীয় ক্যাপ্টেন সোহাইল আখতার ৫ রানে এবং আগের ম্যাচের নায়ক মোহাম্মদ হাফিজ ১৯ রান করে আউট হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে