Dhaka ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
এলডিসি থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে সুশাসনের বিকল্প নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার হবে ১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় এলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’র মুখোমুখি গাজার ২৩ লাখ মানুষ বিএনপিকে যুমনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ‘গরু-ছাগল তামাক পাতা খায় না, অনেক মানুষ তা ক্ষতিকর জেনেও খায়’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি সহ ৫৩ রাজনৈতিক দল মেসিকে নিয়েই অভিনব পন্থায় আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণা

ফাইনালে ওঠার পথে বেঙ্গালুরুর রেকর্ড, ইতিহাসের পাতায় পাতিদার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • 32

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২০১৬ সালের পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে কোহলি-পাতিদারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাব কিংসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা আসরের প্রথম দল হিসেবে চূড়ান্ত ম্যাচের টিকিট নিশ্চিত করেছে। যেখানে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই দাপট ছিল বেঙ্গালুরুর। একইসঙ্গে তারা কোয়ালিফায়ারে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিউ চন্ডিগড়ের মুল্লানপুর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাঞ্জাব। শ্রেয়াশ আইয়ারের দলটি এত বড় বিপর্যয় লিগপর্বে দেখেনি। ১৪.১ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে। যা আইপিএলের প্লে-অফে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এই অবস্থায় ম্যাচ জিততে পাঞ্জাবের বোলারদের অবিস্মরণীয় কিছুই করতে হতো। তবে তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। তারা ম্যাচ জিতে নেয় ১০ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখে।

এর মাধ্যমে আইপিএলের প্লে-অফে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (বল হাতে রাখা সাপেক্ষে) জয়ের রেকর্ড গড়ল বেঙ্গালুরু। এর আগে ২০২৪ আসরের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেই রেকর্ড ছিল নকআউট বা প্লে-অফে সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়। যা কাল টপকে গেছে কোহলি-হ্যাজলউডরা।

এ ছাড়া ১০০–রানের বেশি লক্ষ্য তাড়ায় সফল হওয়ার দিক থেকে বেঙ্গালুরুর অবস্থান দ্বিতীয়। পাঞ্জাবের দেওয়া ১০২ রানের লক্ষ্য তারা পেরোয় বরাবর ১০ ওভারে। এর আগে সমান ৯.৪ ওভারে একশ’র বেশি লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। ২০১৫ আসরে কলকাতার বিপক্ষে বেঙ্গালুরু ১১২ রান এবং গত আসরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে হায়দরাবাদ ১৬৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল।

এদিকে, চলতি আসরে বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রজত পাতিদার। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম আসরেই তিনি ফাইনালে উঠে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তুলেছেন। এদিক থেকে তিনি অবশ্য পঞ্চম ভারতীয়। তার আগে আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে নেমে প্রথম আসরেই ফাইনালে খেলার রেকর্ড গড়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (২০০৮, চেন্নাই), অনিল কুম্বলে (২০০৯, বেঙ্গালুরু), রোহিত শর্মা (২০১৩, মুম্বাই) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (২০২২, গুজরাট)।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে গতকালের রেকর্ডগড়া জয়ে বেঙ্গালুরু চতুর্থবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠল। সর্বশেষ তারা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলে নয় বছর আগে, ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৯ এবং ২০১১ আসর মিলিয়ে তিনবার ফাইনালে খেললেও অবশ্য বেঙ্গালুরুর চূড়ান্ত সাফল্য বা শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি। এবার চতুর্থ দফায় নিশ্চয়ই তারা সেই আক্ষেপ কাটানোর লক্ষ্যে নামবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

এলডিসি থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে সুশাসনের বিকল্প নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফাইনালে ওঠার পথে বেঙ্গালুরুর রেকর্ড, ইতিহাসের পাতায় পাতিদার

Update Time : ০৫:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২০১৬ সালের পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে কোহলি-পাতিদারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাব কিংসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা আসরের প্রথম দল হিসেবে চূড়ান্ত ম্যাচের টিকিট নিশ্চিত করেছে। যেখানে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই দাপট ছিল বেঙ্গালুরুর। একইসঙ্গে তারা কোয়ালিফায়ারে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিউ চন্ডিগড়ের মুল্লানপুর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাঞ্জাব। শ্রেয়াশ আইয়ারের দলটি এত বড় বিপর্যয় লিগপর্বে দেখেনি। ১৪.১ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে। যা আইপিএলের প্লে-অফে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এই অবস্থায় ম্যাচ জিততে পাঞ্জাবের বোলারদের অবিস্মরণীয় কিছুই করতে হতো। তবে তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। তারা ম্যাচ জিতে নেয় ১০ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখে।

এর মাধ্যমে আইপিএলের প্লে-অফে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (বল হাতে রাখা সাপেক্ষে) জয়ের রেকর্ড গড়ল বেঙ্গালুরু। এর আগে ২০২৪ আসরের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেই রেকর্ড ছিল নকআউট বা প্লে-অফে সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়। যা কাল টপকে গেছে কোহলি-হ্যাজলউডরা।

এ ছাড়া ১০০–রানের বেশি লক্ষ্য তাড়ায় সফল হওয়ার দিক থেকে বেঙ্গালুরুর অবস্থান দ্বিতীয়। পাঞ্জাবের দেওয়া ১০২ রানের লক্ষ্য তারা পেরোয় বরাবর ১০ ওভারে। এর আগে সমান ৯.৪ ওভারে একশ’র বেশি লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। ২০১৫ আসরে কলকাতার বিপক্ষে বেঙ্গালুরু ১১২ রান এবং গত আসরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে হায়দরাবাদ ১৬৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল।

এদিকে, চলতি আসরে বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রজত পাতিদার। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম আসরেই তিনি ফাইনালে উঠে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তুলেছেন। এদিক থেকে তিনি অবশ্য পঞ্চম ভারতীয়। তার আগে আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে নেমে প্রথম আসরেই ফাইনালে খেলার রেকর্ড গড়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (২০০৮, চেন্নাই), অনিল কুম্বলে (২০০৯, বেঙ্গালুরু), রোহিত শর্মা (২০১৩, মুম্বাই) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (২০২২, গুজরাট)।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে গতকালের রেকর্ডগড়া জয়ে বেঙ্গালুরু চতুর্থবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠল। সর্বশেষ তারা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলে নয় বছর আগে, ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৯ এবং ২০১১ আসর মিলিয়ে তিনবার ফাইনালে খেললেও অবশ্য বেঙ্গালুরুর চূড়ান্ত সাফল্য বা শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি। এবার চতুর্থ দফায় নিশ্চয়ই তারা সেই আক্ষেপ কাটানোর লক্ষ্যে নামবে।