ফখর জামান ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটিং তাণ্ডবে ম্লান হয়ে গেল ক্রিস গেইলের ব্যাটিং ঝড়। ওই দুই পাকিস্তানির অনবদ্য জোড়া ফিফটিতে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দল দুটি। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইউনিভার্সাল বস গেইলের ঝোড়ো ফিফটি এবং অধিনায়ক সরফরাজ ও নওয়াজের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি গড়ে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে। এ ম্যাচে ওপেনিংয়ে নয়, ওয়ানডাউনে নামানো হয় বাঁহাতি এই ক্যারিবীয় দানবকে। তাঁর ৪০ বলের ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কার মার। যদিও গেইল ঝড় ওঠার আগে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে গ্লাডিয়েটর্স।
এই অবস্থায় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে শঙ্কামুক্ত করার পাশাপাশি ভালো অবস্থানেও পৌঁছে দেন ইউনিভার্স বস। দলীয় ১১৮ রানে গেইল আউট হয়ে ফিরলে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের স্কোরকে পৌনে দুইশর ঘরে নিয়ে যান মোহাম্মদ নওয়াজ। মাত্র ২০ বলে একটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে ৩৩ বলে পাঁচটি চারে ৪০ রান করে আউট হন সরফরাজ। কালান্দার্সের পক্ষে একাই তিনটি উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন হারিস রউফ।
জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক সোহাইল আখতারের সঙ্গে শুরুতেই ৬৪ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভীত গড়েন ফখর জামান। পরে হাফিজের সঙ্গে মিলে ১০ বল হাতে রেখেই বড় জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার। মূলত এই দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে কোয়েটার ওই রানকে মামুলীই মনে হয়েছে লাহোরের জন্য।
শুরুতে নেমে ৫২ বল মোকাবেলা করে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন ফখর। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৮টি দৃষ্টিনন্দন চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার মার। তবে হাফিজ ছিলেন তাঁর থেকেও আগ্রাসী। তাঁর ৭৩ রানের ইনিংসটি ছিল ৩৩ বলের, যাতে ছিল ছয়টি বিশাল ছক্কার সঙ্গে পাঁচটি চারের মার। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা গেছে ফখর জামানের হাতেই।
এদিকে এই জয়ে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে যথারীতি লাহোর কালান্দার্স। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই হেরে তলানিতে কোয়েটা।