অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এখন অনেকেরই। সেক্ষেত্রে বাজার চলতি হেয়ার কালার ব্যবহারে রয়েছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই।
তবে পাকা চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে প্রাকৃতিক উপায়ে।
কম বয়সে চুল পাকার পেছনে জিনগত প্রভাবের পাশাপাশি, অস্থিরতা, ধূমপান, দূষণ, মানসিক চাপ প্রভৃতি বিষয় কাজ করে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চুল পাকা ভাব দেখা দিলেই অনেকেই সেলুনে গিয়ে কালার করে থাকেন। কিন্তু রং করার জন্য নিয়মিত রাসায়নিক ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
এবার জেনে নিন প্রাকৃতিকভাবে চুল পাকা বন্ধ করার উপায়…
* আমলকি, এই প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানটি পাউডার ও তেল দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। আমলা তেল চুলের কালো রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং পাউডার চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে ব্যবহার করা যায়।
* পেঁয়াজ বাটা চুলের অকালে পেকে যাওয়া ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। পেঁয়াজ বেটে প্রতিদিন চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অল্প কয়দিনের মধ্যেই পাকা চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
* আমলকির গুঁড়ার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। তারপর ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলের সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
* বাদাম চুলের জন্য খুবই উপকারী। সুন্দর চুল ধরে রাখতে বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদামের তেল চুলে লাগালে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
* পাকা চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন নারিকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মাখুন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পাকা চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
* ছোলা বি১২ ও ফোলিক এসিডে ভরপুর। তাই সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি চুল কালো করার জন্যে যথেষ্ট উপাদেয়।
* চুলের সুরক্ষায় হেনার ব্যবহার অনেক পুরনো। চুল ধূসর হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সরিষা তেলের সঙ্গে হেনা পাতার মিশ্রণ অনেক উপকারি।