Dhaka ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের যে কোনো পরিসরেই ভোটের আওতায় আনবো: ইসি সানাউল্লাহ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯ Time View

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একাধিক পদ্ধতি দরকার বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কশিনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের যেকোনো পরিসরেই হোক না কেনো তাদের ভোটের আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যে বিশেজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শক টিম গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথম তার ভাষণে প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশনও এই প্রত্যাশা ধারণ করে। আমরা ১৭৮টি দেশে স্টাডি করে দেখেছি ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। সবচেয়ে অনুশ্রিত পদ্ধতি হচ্ছে দূতাবাসে, এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট, এরপর হচ্ছে অনলাইন বা প্রক্সি ভোটিং। বাংলাদেশের প্রবাসীদের যে বিস্তৃতি তাতে দূতাবাসে সেটা সীমিত। এজন্য তিনটিকে শর্টলিস্ট করেছি। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং। তিনটিরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু সুবিধাও আছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পর নির্বাচন, আইন, কারিগরি ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কর্মশালা করি। যেখানে ১০টি টিম তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। ঢাবি, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ১০টি উপস্থাপনার মধ্যে তিনটা পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা দেখেছি। আমরা যে পদ্ধতিই অনুসরণ করি না কেনো, তা বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিস্তৃতসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে করতে হবে। যে পদ্ধতিতেই করি না কেনো, প্রবাসীদের প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটা পদ্ধতি নয় বরং মিশ্র পদ্ধতি করতে হবে। কেননা একেক এদেশের পরিস্থিতি একেক রকম। সব পদ্ধতির সফলতা ও দুর্বলতা আছে। সব পদ্ধতির জন্য মক টেস্টিং প্রয়োজন হবে। সম্ভবত সব পদ্ধতির জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে করতে হবে। এটা অনেক দেশ করছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনলাইন ভোট এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি। অনেক দেশ চার-পাঁচ বছর ধরে করছে। কর্মশালার আলোচনায় ওঠে আসা পদ্ধতিগুলো ফাইন টিউন করতে হবে। আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হচ্ছে, একটা অ্যাডভাইজরি টিম গঠন করবো, গতকাল যারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তাদের নিয়ে। তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করে কী করে দুর্বলতা কাটানো যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবেন। এরপর আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বসবো। আমরা যাই করি না কেনো যে সময়টা আমরা পাবো তার মধ্যেই কাস্টমাইজ করতে হবে। তাই সময় না পেলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এজন্য আমরা একটা দিনও সময় নষ্ট করছি না। ইনশাআল্লাহ এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে পারবো। তবে কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা কারিগরি টিম কাজ করার পর চূড়ান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রক্সি ভোটকে আমরা বলেছি, যদি সব ভোটারকে আনতে চাই তাহলে প্রক্সি একমাত্র অপশন। এখনো কমিশনের অবস্থান একই আছে। প্রক্সি ভোটের দুর্বলতা অনেকে তুলে ধরেছেন। সফলতাও তুলে ধরেছেন। অন্যগুলোর ক্ষেত্রেও তাই। কোনো অপশনকেই আমরা সিঙ্গেল আউট করছি না। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটি সিঙ্গেল অপশন অ্যাপলিকবেল না। কমবাইন অপশনের দিকে যেতে হবে। তিনটা পদ্ধতিকে যদি আনা যায়, তাহলে আমরা তিনটা পদ্ধতিকেই আনবো। পাশাপাশি নিবন্ধন পার্টটা অনলাইন হবে। যে ধরনের ভোটই হোক না কেনো অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এখন প্রবাসী যে দেশে থেকে ভোট দিতে চান, সেই দেশে ওই পদ্ধতি কার্যকর কি না সেটা দেখতে হবে। অনলাইন ভোটিংয়ে যেতে হলে সময় আরো বেশি লাগবে।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার আওতায় আনতে চাই তাহলে কোনো না কোনো পদ্ধতি আনতে হবে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও। পৃথিবীতে ২৫টির মতো দেশ প্রক্সি ভোট করছে। ডিজেবল, বা হাসপাতালে আছে, গর্ভবতী, শিক্ষার্থী, ফোর্সেসদের জন্য, কারাগারের জন্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতরা, বিদেশে অবস্থান করছে, ডিপ্লোমেটদের করছেন। তবে কিছু কিছু দেশ সবার জন্য প্রক্সি ভোটের ব্যবস্থা করছে। নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইউকে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। আর অন্যরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেখেছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাইলে সব পদ্ধতিতেই সীমাবদ্ধতা আছে। তবে আমাদের সেই সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে হবে।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, গতকাল কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রভাবিত করিনি। আমরা চেয়েছি সবাই খোলামেলা মতামত দিই। এজন্য আমরা কর্মশালা করেছি। যেন গবেষকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাত জেগে ছাত্রদের নিয়ে রাতারাতি কাজ করে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যদি বড় পরিসরে অনেক প্রবাসীকে আনতে চাই তবে প্রক্সি হচ্ছে অনলি ওয়ান অপশন। তবে বাস্তবতার নিরীখে অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। অ্যাডভাইজরি কমিটি কী পরামর্শ দেয় সেটা আগে দেখি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তিন স্তরে মক ভোট করা, তারপর নির্বাচনে। পৃথিবীর সব দেশ জাতীয় নির্বাচনে রেখেছে। আমরা আগে জাতীয় নির্বাচনে করি। তারপর স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বলতে পারবো। যেখানে প্রবাসীরা একটা ভোটও দিতে পারে না, সেখানে আমরা এমন পদ্ধতি আনবো না, যেখানে প্রবাসীরা হোঁচট খায়। ইনশাল্লাহ সব টাইমলি হয়ে যাবে।
কমিশনার আরও বলেন, সিস্টেম ডেভেলপ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না, কতদিন সময় লাগবে। তারপর আমরা বলতে পারবো। সংস্কার কমিশন পোস্টাল ও অনলাইন পদ্ধতির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা ট্রায়াল পর্যন্ত আটটা ধাপের কথা বলেছেন। এখন ট্রায়াল কতদিন চলবে সেটা নেই। কাজেই এটা কারিগরি বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রবাসীদের যে কোনো পরিসরেই ভোটের আওতায় আনবো: ইসি সানাউল্লাহ

Update Time : ০৭:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একাধিক পদ্ধতি দরকার বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কশিনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের যেকোনো পরিসরেই হোক না কেনো তাদের ভোটের আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যে বিশেজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শক টিম গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথম তার ভাষণে প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশনও এই প্রত্যাশা ধারণ করে। আমরা ১৭৮টি দেশে স্টাডি করে দেখেছি ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। সবচেয়ে অনুশ্রিত পদ্ধতি হচ্ছে দূতাবাসে, এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট, এরপর হচ্ছে অনলাইন বা প্রক্সি ভোটিং। বাংলাদেশের প্রবাসীদের যে বিস্তৃতি তাতে দূতাবাসে সেটা সীমিত। এজন্য তিনটিকে শর্টলিস্ট করেছি। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং। তিনটিরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু সুবিধাও আছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পর নির্বাচন, আইন, কারিগরি ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কর্মশালা করি। যেখানে ১০টি টিম তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। ঢাবি, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ১০টি উপস্থাপনার মধ্যে তিনটা পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা দেখেছি। আমরা যে পদ্ধতিই অনুসরণ করি না কেনো, তা বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিস্তৃতসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে করতে হবে। যে পদ্ধতিতেই করি না কেনো, প্রবাসীদের প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটা পদ্ধতি নয় বরং মিশ্র পদ্ধতি করতে হবে। কেননা একেক এদেশের পরিস্থিতি একেক রকম। সব পদ্ধতির সফলতা ও দুর্বলতা আছে। সব পদ্ধতির জন্য মক টেস্টিং প্রয়োজন হবে। সম্ভবত সব পদ্ধতির জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে করতে হবে। এটা অনেক দেশ করছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনলাইন ভোট এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি। অনেক দেশ চার-পাঁচ বছর ধরে করছে। কর্মশালার আলোচনায় ওঠে আসা পদ্ধতিগুলো ফাইন টিউন করতে হবে। আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হচ্ছে, একটা অ্যাডভাইজরি টিম গঠন করবো, গতকাল যারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তাদের নিয়ে। তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করে কী করে দুর্বলতা কাটানো যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবেন। এরপর আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বসবো। আমরা যাই করি না কেনো যে সময়টা আমরা পাবো তার মধ্যেই কাস্টমাইজ করতে হবে। তাই সময় না পেলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এজন্য আমরা একটা দিনও সময় নষ্ট করছি না। ইনশাআল্লাহ এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে পারবো। তবে কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা কারিগরি টিম কাজ করার পর চূড়ান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রক্সি ভোটকে আমরা বলেছি, যদি সব ভোটারকে আনতে চাই তাহলে প্রক্সি একমাত্র অপশন। এখনো কমিশনের অবস্থান একই আছে। প্রক্সি ভোটের দুর্বলতা অনেকে তুলে ধরেছেন। সফলতাও তুলে ধরেছেন। অন্যগুলোর ক্ষেত্রেও তাই। কোনো অপশনকেই আমরা সিঙ্গেল আউট করছি না। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটি সিঙ্গেল অপশন অ্যাপলিকবেল না। কমবাইন অপশনের দিকে যেতে হবে। তিনটা পদ্ধতিকে যদি আনা যায়, তাহলে আমরা তিনটা পদ্ধতিকেই আনবো। পাশাপাশি নিবন্ধন পার্টটা অনলাইন হবে। যে ধরনের ভোটই হোক না কেনো অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এখন প্রবাসী যে দেশে থেকে ভোট দিতে চান, সেই দেশে ওই পদ্ধতি কার্যকর কি না সেটা দেখতে হবে। অনলাইন ভোটিংয়ে যেতে হলে সময় আরো বেশি লাগবে।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার আওতায় আনতে চাই তাহলে কোনো না কোনো পদ্ধতি আনতে হবে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও। পৃথিবীতে ২৫টির মতো দেশ প্রক্সি ভোট করছে। ডিজেবল, বা হাসপাতালে আছে, গর্ভবতী, শিক্ষার্থী, ফোর্সেসদের জন্য, কারাগারের জন্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতরা, বিদেশে অবস্থান করছে, ডিপ্লোমেটদের করছেন। তবে কিছু কিছু দেশ সবার জন্য প্রক্সি ভোটের ব্যবস্থা করছে। নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইউকে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। আর অন্যরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেখেছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাইলে সব পদ্ধতিতেই সীমাবদ্ধতা আছে। তবে আমাদের সেই সীমাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে হবে।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, গতকাল কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রভাবিত করিনি। আমরা চেয়েছি সবাই খোলামেলা মতামত দিই। এজন্য আমরা কর্মশালা করেছি। যেন গবেষকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাত জেগে ছাত্রদের নিয়ে রাতারাতি কাজ করে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যদি বড় পরিসরে অনেক প্রবাসীকে আনতে চাই তবে প্রক্সি হচ্ছে অনলি ওয়ান অপশন। তবে বাস্তবতার নিরীখে অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। অ্যাডভাইজরি কমিটি কী পরামর্শ দেয় সেটা আগে দেখি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তিন স্তরে মক ভোট করা, তারপর নির্বাচনে। পৃথিবীর সব দেশ জাতীয় নির্বাচনে রেখেছে। আমরা আগে জাতীয় নির্বাচনে করি। তারপর স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বলতে পারবো। যেখানে প্রবাসীরা একটা ভোটও দিতে পারে না, সেখানে আমরা এমন পদ্ধতি আনবো না, যেখানে প্রবাসীরা হোঁচট খায়। ইনশাল্লাহ সব টাইমলি হয়ে যাবে।
কমিশনার আরও বলেন, সিস্টেম ডেভেলপ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না, কতদিন সময় লাগবে। তারপর আমরা বলতে পারবো। সংস্কার কমিশন পোস্টাল ও অনলাইন পদ্ধতির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা ট্রায়াল পর্যন্ত আটটা ধাপের কথা বলেছেন। এখন ট্রায়াল কতদিন চলবে সেটা নেই। কাজেই এটা কারিগরি বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন।