Dhaka ০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলায় বক্তব্য রাখবেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৬ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে এবারও বাংলায় বক্তব্য রাখবেন। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথমবারের মতো তিনি ভার্চুয়ালী এ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন।

আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫-তম অধিবেশন নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের কারণে এবারের অধিবেশন পূর্ববর্তী বছরগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধিমালা অনুসরণ করে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশ থেকে এবারের সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মত এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা পূর্বের বছরগুলোর মতই গুরুত্বসহকারে আলোচিত হবে।

তিনি বলেন, এবারের অধিবেশন চলাকালে ২৬ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন। প্রতিবারের মত এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। বক্তৃতায় স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ দমনে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা, ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও দুর্দশা দমনে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি, জলবায়ূ পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ, এবং নারীর ক্ষমতায়ণের মতো বিষয়সমূহ উঠে আসবে। তাছাড়া, প্রতিবারের মত রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলায় বক্তব্য রাখবেন

Update Time : ০১:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে এবারও বাংলায় বক্তব্য রাখবেন। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথমবারের মতো তিনি ভার্চুয়ালী এ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন।

আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫-তম অধিবেশন নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের কারণে এবারের অধিবেশন পূর্ববর্তী বছরগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধিমালা অনুসরণ করে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশ থেকে এবারের সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মত এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা পূর্বের বছরগুলোর মতই গুরুত্বসহকারে আলোচিত হবে।

তিনি বলেন, এবারের অধিবেশন চলাকালে ২৬ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন। প্রতিবারের মত এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। বক্তৃতায় স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ দমনে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা, ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও দুর্দশা দমনে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি, জলবায়ূ পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ, এবং নারীর ক্ষমতায়ণের মতো বিষয়সমূহ উঠে আসবে। তাছাড়া, প্রতিবারের মত রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে।