Dhaka ০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ঝড় তুলে পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটের জয় উপহার দিল গেইল

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৪৮ Time View

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব পাত্তাই দিল না বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে- শিরোনামটা এমন হওয়ার কথা ছিল। শেষ ওভারে যে দরকার ছিল মাত্র ২ রান, হাতে ৯ উইকেট। এমন ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানোর সুযোগ কই!

কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে এমন এক ম্যাচও শেষ ওভারে উত্তেজনা ছড়াল। ২ রান নিতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো পাঞ্জাবকে।

নানা নাটকীয়তা পেরিয়ে অবশ্য আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। ক্রিস গেইলকে নিয়ে খেলতে নেমে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।

এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গেইল। তবে কিছুটা ধীরগতির ছিলেন, শেষদিকে তো বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন দলকে।

শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের করা উত্তেজনাপূর্ণ ওভারটিতে প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি গেইল। তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গেলস, পরের বলে স্ট্রাইকে গিয়ে লোকেশ রাহুলও রান তুলতে পারেননি। পঞ্চম বলে কভারে ঠেলে তিনি এক নিতে চাইলে রানআউটের কবলে পড়েন ৪৫ বলে ৫ ছক্কা, ১ চারে ৫৩ করা গেইল।

নতুন ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান আসেন স্ট্রাইকে, উত্তেজনা তখন চরমে। শেষ বলে এক নিতে পারলে জয়, না নিতে পারলে টাই। এমন পরিস্থিতিতে নেমেই লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনার আগুনে পানি ঢেলে দেন পুরান। পাঞ্জাব হাসে শেষ হাসি।

৪৯ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। জয়ে বড় অবদান ছিল আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালেরও। ২৫ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু শুরুটা করেছিল ঝড়ো গতিতে। কিন্তু এরপর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিরাট কোহলির দলকে আটকে রেখেছিলেন ক্রিস জর্ডান-মুরুগান অশ্বিনরা।

১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক কোহলিও যেন টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ৩৯ বলে মাত্র ৩ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করে ১৮তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তবে শেষ দুই ওভারে ইনিংস ঘুরিয়ে দেন ক্রিস মরিস আর ইসুরু উদানা। এই যুগল ১৩ বলে যোগ করেন ৩৫ রান।

এর মধ্যে মরিসই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৮ বলে তার ২৫ রানের হার না মানা ইনিংসটিতে ছিল ১টি চার আর ৩টি ছক্কা। ১ ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন উদানা। ব্যাঙ্গালুরু তুলে ৬ উইকেটে ১৭১ রান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ঝড় তুলে পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটের জয় উপহার দিল গেইল

Update Time : ১১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব পাত্তাই দিল না বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে- শিরোনামটা এমন হওয়ার কথা ছিল। শেষ ওভারে যে দরকার ছিল মাত্র ২ রান, হাতে ৯ উইকেট। এমন ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানোর সুযোগ কই!

কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে এমন এক ম্যাচও শেষ ওভারে উত্তেজনা ছড়াল। ২ রান নিতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো পাঞ্জাবকে।

নানা নাটকীয়তা পেরিয়ে অবশ্য আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। ক্রিস গেইলকে নিয়ে খেলতে নেমে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।

এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গেইল। তবে কিছুটা ধীরগতির ছিলেন, শেষদিকে তো বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন দলকে।

শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল মাত্র ২ রান। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের করা উত্তেজনাপূর্ণ ওভারটিতে প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি গেইল। তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গেলস, পরের বলে স্ট্রাইকে গিয়ে লোকেশ রাহুলও রান তুলতে পারেননি। পঞ্চম বলে কভারে ঠেলে তিনি এক নিতে চাইলে রানআউটের কবলে পড়েন ৪৫ বলে ৫ ছক্কা, ১ চারে ৫৩ করা গেইল।

নতুন ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান আসেন স্ট্রাইকে, উত্তেজনা তখন চরমে। শেষ বলে এক নিতে পারলে জয়, না নিতে পারলে টাই। এমন পরিস্থিতিতে নেমেই লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনার আগুনে পানি ঢেলে দেন পুরান। পাঞ্জাব হাসে শেষ হাসি।

৪৯ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। জয়ে বড় অবদান ছিল আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালেরও। ২৫ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু শুরুটা করেছিল ঝড়ো গতিতে। কিন্তু এরপর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিরাট কোহলির দলকে আটকে রেখেছিলেন ক্রিস জর্ডান-মুরুগান অশ্বিনরা।

১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক কোহলিও যেন টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ৩৯ বলে মাত্র ৩ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করে ১৮তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তবে শেষ দুই ওভারে ইনিংস ঘুরিয়ে দেন ক্রিস মরিস আর ইসুরু উদানা। এই যুগল ১৩ বলে যোগ করেন ৩৫ রান।

এর মধ্যে মরিসই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৮ বলে তার ২৫ রানের হার না মানা ইনিংসটিতে ছিল ১টি চার আর ৩টি ছক্কা। ১ ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন উদানা। ব্যাঙ্গালুরু তুলে ৬ উইকেটে ১৭১ রান।