ক্রীড়া প্রতিবেদক:
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৭ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ২০৫ রান। জবাবে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৮৮ রান।
জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৫ রানেই বিদায় নেন বাংলাদেশের ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। জিম্বাবুয়ের পেসার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে তানাকা চিভাঙ্গার মুঠোয় চলে যায় বল। ৮ বলের মোকাবেলায় মুনিম করেন মাত্র ৪ রান।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন লিটন দাশ ও এনামুল হক। এক প্রান্তে রানের গতি বাড়ান লিটন; অন্যপ্রান্ত ধরে রাখেন এনামুল। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬০ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। লিটন কিছু বাউন্ডার হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু সপ্তম ওভারে স্কুপ খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। তবে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ফিল্ডার এনগারাভা। কিন্তু লিটন ক্যাচ আউট ভেবে ক্রিজের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফিল্ডার বল বোলার শন উইলিয়ামসের কাছে ফেরত পাঠালে তিনি স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। ফলে ১৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন লিটন।
ইনিংসের দশম ওভারে সিকান্দার রাজাকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান এনামুল হক বিজয়। পরের বলেও একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে যান সাম্বার। ২৭ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রানে সাজঘরে ফিরেন বিজয়। এর পর ৮ বলে এক চারে ১০ রান করেন সাজ ঘরে ফেরনে আফিফ।
এরপর দায়িত্বটা পড়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের কাধে। মাত্রই জমে উঠতে শুরু করেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। এমন সময়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ৩২ রান। দুর্দান্ত এক ওভারে ম্যাচ থেকে বাংলাদেশকে এক রকম ছিটকে দিলেন রিচার্ড এনগারাভা। নুরুল হাসান সোহানকে প্রথম দুটি বল ডট খেলান তিনি। পরের তিন বলে ওয়াইডসহ আসে ৪ রান। ওভারের শেষ বলে ছক্কার চেষ্টায় থামেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১০ বলে এক চারে তিনি করেন ১৩। ৪২ রানে আউট হন অধিনায়ক নুরুল। এর পর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে।
এর আগে শনিবার (৩০শে জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন রেজিস চাকাভা। বাঁহাতি এই পেসারের বোল ছক্কা মারতে গিয়ে নাজমুল হাসান শান্তর তালুবন্দি হন তিনি। ১১ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার। তিনে ব্যাট করতে নেমে আরভিনকে সঙ্গ দেন ওয়েসলি মাধেভেরে। গড়েন ২৮ রানের জুটি। তবে তা বেশিক্ষণ টেকেনি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে নিজের শিকার বানান মোসাদ্দেক হোসাইন। ১৮ বলে ২১ রান করে বোল্ড হন তিনি।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মাধেভেরে। শন উইলিয়ামসের সঙ্গে ৩৭ বলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ত্রয়োদশ ওভারে এই জুটি ভেঙ্গে ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামস।
উইলিয়ামসের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমে মাধেভেরের সঙ্গে সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন সিকান্দার রাজা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের সংগ্রহ নিয়ে যান দুই শ এর উপরে।