বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আলোকচিত্রী সাইদা খানম- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এরআগে সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৩টার দিকে মারা যান সাইদা খানম। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
সাইদা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। বাবা আবদুস সামাদ খান ও মানাছিমা খাতুন। ১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।
বেগম পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তার ছবি ছাপা হয় অবজারভার, ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। সত্যজিতের একাধিক চলচ্চিত্রে আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
দেশের বাইরে ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্রে তার তোলা ছবির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। জাপানে ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, বেগম পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পুরস্কার, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানসূচক ফেলোসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পান তিনি।
ছবি তোলার পাশাপাশি লেখালেখি করতেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ধূলোমাটি’, ‘স্মৃতির পথ বেয়ে’, ‘আমার চোখে সত্যজিৎ রায়’। তিনি বাংলা একাডেমি ও ইউএনএবির আজীবন সদস্য ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।