Dhaka ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুর ১, বাংলাদেশ ০

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • 40

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে অনেক আগে থেকেই উন্মাদনা ছিল। যা আরও চরম মাত্রায় পৌঁছায় আজ ম্যাচের আগমুহূর্তে। মাঠেও ছিল উভয় দলের শারিরীক ও আক্রমণাত্মক লড়াই। এরই মাঝে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একেবারে আগমুহূর্তে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফলে হামজা-সামিত সৌমদের স্বাগতিক শিবির পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে।

৪৪ মিনিটের গোলে লিড নেয় সিঙ্গাপুর। ৪৩ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে তারা লম্বা থ্রো ইন করে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলের লাগাল পেলেও পুরোপুরি গ্রিপ করতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট। তার বাড়ানো বল বাংলাদেশের জালে ঠেলে দেন সং উই ইয়ান। সিঙ্গাপুরের দুই ফুটবলারের পা ঘুরলেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক পোস্টে ফিরতে পারেননি।

হামজা চৌধুরি গোল লাইন ক্লিয়ারের চেষ্টা করেছিলেন। গোললাইন ক্রস করার পর তার পায়ে লেগেই বল আরও ভেতরে প্রবেশ করে। পিছিয়ে পড়ার পরপরই বাংলাদেশ টানা দুটি কর্নার আদায় করে। ডান প্রান্ত থেকে সামিত সোমের নেওয়া দুই শটই প্রতিহত করেছেন সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডাররা। রেফারি তিন মিনিট ইনজুরি সময় দিলেও সেই সময় তেমন আক্রমণ হয়নি।

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথমার্ধ সমানতালেই হয়েছে। সিঙ্গাপুর গোলের আক্রমণ যেমন পেয়েছে তেমনি লড়েছে বাংলাদেশও। আজ অভিষেক হওয়া সামিত সোম কয়েকবারই ডিফেন্স চেরা পাস দিয়েছিলেন। তবে কয়েক দফা মিস করেছেন আক্রমণভাগে বাংলাদেশের তারকা রাকিব।

সিঙ্গাপুর ৪৪ মিনিটে যে গোল আদায় করেছে এমন আক্রমণ ছিল নয় মিনিটেও। থ্রো ইন থেকে জর্ডান এমবই লাফিয়ে হেড করেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল বক্স থেকে সামনে এসে বলের লাগান পাননি। জর্ডানের হেড থেকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের সামনে বল পান সং উইঅং। তিনি পা ছোঁয়ালেও বল পোস্টে রাখতে পারেননি। না হলে সেই সময়ই পিছিয়ে পড়ত বাংলাদেশ।

১৫ মিনিটে শাকিল আহাদ তপু একক প্রচেষ্টায় ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে প্রবেশ করেন। তার বাড়ানো বলে রাকিব পা ছোঁয়ালেও বল জালে পাঠাতে পারেননি। পরের মিনিটেই সিঙ্গাপুর গোলের আক্রমণ মিস করে। সাফওয়ান বাহারুদ্দিনের ক্রস ফান্দি হেড করলেও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে বাংলাদেশের ফাহমিদুল ইসলাম মেজাজ হারান। সিঙ্গাপুরের ফুটবলারকে পেছন থেকে টেনে ধরায় ফিলিপাইনের রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখান। ৩৩ মিনিটে ফাহমিদুলকে বক্সের সামনে ফেলে দেওয়ায় বাংলাদেশ ফ্রি কিক পায়। হামজা চৌধুরির নেওয়া ফ্রি কিক শট অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে সামিতের বাড়ানো বলে ফাহমিদুল এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিলেও ব্লক হয়।

৩১ মিনিটে লং বল রিসিভ করে বক্সে প্রবেশ করে ফান্দির শট মিতুল সেভ করেন। কাউন্টার অ্যাটাকে সামিতের বাড়ানো বলে মিস করেন রাকিব। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তারিক কাজী ম্যাচে কয়েকবার ব্যথা পেয়েছেন। এরপরও প্রথমার্ধে খেলে গেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুর ১, বাংলাদেশ ০

Update Time : ০২:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে অনেক আগে থেকেই উন্মাদনা ছিল। যা আরও চরম মাত্রায় পৌঁছায় আজ ম্যাচের আগমুহূর্তে। মাঠেও ছিল উভয় দলের শারিরীক ও আক্রমণাত্মক লড়াই। এরই মাঝে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একেবারে আগমুহূর্তে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফলে হামজা-সামিত সৌমদের স্বাগতিক শিবির পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে।

৪৪ মিনিটের গোলে লিড নেয় সিঙ্গাপুর। ৪৩ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে তারা লম্বা থ্রো ইন করে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলের লাগাল পেলেও পুরোপুরি গ্রিপ করতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট। তার বাড়ানো বল বাংলাদেশের জালে ঠেলে দেন সং উই ইয়ান। সিঙ্গাপুরের দুই ফুটবলারের পা ঘুরলেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক পোস্টে ফিরতে পারেননি।

হামজা চৌধুরি গোল লাইন ক্লিয়ারের চেষ্টা করেছিলেন। গোললাইন ক্রস করার পর তার পায়ে লেগেই বল আরও ভেতরে প্রবেশ করে। পিছিয়ে পড়ার পরপরই বাংলাদেশ টানা দুটি কর্নার আদায় করে। ডান প্রান্ত থেকে সামিত সোমের নেওয়া দুই শটই প্রতিহত করেছেন সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডাররা। রেফারি তিন মিনিট ইনজুরি সময় দিলেও সেই সময় তেমন আক্রমণ হয়নি।

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথমার্ধ সমানতালেই হয়েছে। সিঙ্গাপুর গোলের আক্রমণ যেমন পেয়েছে তেমনি লড়েছে বাংলাদেশও। আজ অভিষেক হওয়া সামিত সোম কয়েকবারই ডিফেন্স চেরা পাস দিয়েছিলেন। তবে কয়েক দফা মিস করেছেন আক্রমণভাগে বাংলাদেশের তারকা রাকিব।

সিঙ্গাপুর ৪৪ মিনিটে যে গোল আদায় করেছে এমন আক্রমণ ছিল নয় মিনিটেও। থ্রো ইন থেকে জর্ডান এমবই লাফিয়ে হেড করেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল বক্স থেকে সামনে এসে বলের লাগান পাননি। জর্ডানের হেড থেকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের সামনে বল পান সং উইঅং। তিনি পা ছোঁয়ালেও বল পোস্টে রাখতে পারেননি। না হলে সেই সময়ই পিছিয়ে পড়ত বাংলাদেশ।

১৫ মিনিটে শাকিল আহাদ তপু একক প্রচেষ্টায় ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে প্রবেশ করেন। তার বাড়ানো বলে রাকিব পা ছোঁয়ালেও বল জালে পাঠাতে পারেননি। পরের মিনিটেই সিঙ্গাপুর গোলের আক্রমণ মিস করে। সাফওয়ান বাহারুদ্দিনের ক্রস ফান্দি হেড করলেও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে বাংলাদেশের ফাহমিদুল ইসলাম মেজাজ হারান। সিঙ্গাপুরের ফুটবলারকে পেছন থেকে টেনে ধরায় ফিলিপাইনের রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখান। ৩৩ মিনিটে ফাহমিদুলকে বক্সের সামনে ফেলে দেওয়ায় বাংলাদেশ ফ্রি কিক পায়। হামজা চৌধুরির নেওয়া ফ্রি কিক শট অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে সামিতের বাড়ানো বলে ফাহমিদুল এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিলেও ব্লক হয়।

৩১ মিনিটে লং বল রিসিভ করে বক্সে প্রবেশ করে ফান্দির শট মিতুল সেভ করেন। কাউন্টার অ্যাটাকে সামিতের বাড়ানো বলে মিস করেন রাকিব। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তারিক কাজী ম্যাচে কয়েকবার ব্যথা পেয়েছেন। এরপরও প্রথমার্ধে খেলে গেছেন তিনি।