Dhaka ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৩ Time View

সঠিক কৌশল ও সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে এক নম্বর স্থানে উঠতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং।

বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে জানিয়ে কিয়াক সুং বলেন, শীর্ষস্থান অধিকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নত ও হাতে তৈরি সুতার জন্য নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা স্থাপন করতে হবে।

এসময় তিনি নীতি সহায়তার গুরুত্ব ও বিপুল সংখ্যক বন্ডেড গুদামের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, এগুলো কাঁচামালের দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যার ফলে উৎপাদনকারীরা আরও দক্ষতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবেন।

সাম্প্রতিক বাণিজ্য উন্নয়নের বিষয়ে মন্তব্য করে সুং বলেন, ট্রাম্প-যুগের শুল্ক নীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের ওপর মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’

Update Time : ১২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সঠিক কৌশল ও সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে এক নম্বর স্থানে উঠতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং।

বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে জানিয়ে কিয়াক সুং বলেন, শীর্ষস্থান অধিকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নত ও হাতে তৈরি সুতার জন্য নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা স্থাপন করতে হবে।

এসময় তিনি নীতি সহায়তার গুরুত্ব ও বিপুল সংখ্যক বন্ডেড গুদামের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, এগুলো কাঁচামালের দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যার ফলে উৎপাদনকারীরা আরও দক্ষতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবেন।

সাম্প্রতিক বাণিজ্য উন্নয়নের বিষয়ে মন্তব্য করে সুং বলেন, ট্রাম্প-যুগের শুল্ক নীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের ওপর মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।