Dhaka ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে সহযোগিতা করুন: উপদেষ্টা মাহফুজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 36

পুলিশকে সহাযোগিতা করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত এগারোটায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “গত কয়েকদিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এক্টিভ হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেফতার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। কিন্তু, তারাও পুলিশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি এক্টিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার শঙ্কা রয়ে যায়।

পুলিশের Morale (মনোবল) একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল। কিন্তু, জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কিভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।

বিজ্ঞাপন
ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির উপর বর্তায়। কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।

সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু, মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এ সকল অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।

আর, মনে রাখবেন – Justice Hurried, Justice Burried. যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু, নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।

সরকারবিরোধিতা কোন ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট না, কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে৷”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পুলিশকে সহযোগিতা করুন: উপদেষ্টা মাহফুজ

Update Time : ০৪:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পুলিশকে সহাযোগিতা করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত এগারোটায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “গত কয়েকদিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এক্টিভ হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেফতার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। কিন্তু, তারাও পুলিশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি এক্টিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার শঙ্কা রয়ে যায়।

পুলিশের Morale (মনোবল) একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল। কিন্তু, জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কিভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।

বিজ্ঞাপন
ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির উপর বর্তায়। কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।

সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু, মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এ সকল অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।

আর, মনে রাখবেন – Justice Hurried, Justice Burried. যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু, নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।

সরকারবিরোধিতা কোন ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট না, কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে৷”