কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার সঙ্গে আগের সাক্ষাতে হারতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। এরপর নিজেদের মাঠেও হারই চোখ রাঙাচ্ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। গোল হজম করে প্রথমার্ধ শেষ, এরপর দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফের্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটা। এরপরও কোচ লিওনেল স্কালোনির দল ম্যাচটা শেষ করেছে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৮০ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার গোলে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা।
বুয়েনোস এইরেসের মনিউমেন্তাল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা শুরুটা খারাপ করেনি। লিওনেল মেসিকে একাদশে রেখে মাঠে নামে দলটা। শুরুর দিকেই মেসি দারুণ এক আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। তবে এরপর সময় যত গড়িয়েছে, সবশেষ কোপা আমেরিকার রানার্স আপ কলম্বিয়া ম্যাচে কর্তৃত্ব দেখিয়েছে ততটাই। একের পর এক প্রতি আক্রমণে নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছে আর্জেন্টাইন রক্ষণের।
২৪ মিনিটে তারই ফল পায় দলটা। প্রতি আক্রমণে কেভিন কাস্তানোর বাড়ানো বল মাঝমাঠে পান শেষ কিছু দিন ধরে বার্সেলোনার নজরে থাকা লিভারপুল তারকা লুইস দিয়াজ। বাম পাশ দিয়ে আক্রমণে ওঠেন তিনি, ঢুকে পড়েন আর্জেন্টাইন বিপদসীমায়। তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে জায়গা বের করেন তিনি, এরপর এমি মার্তিনেজকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ান জালে।
মিনিট ছয়েক পর অবশ্য একবার বল জালে জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কাটায় সে গোলটা আর পায়নি দলটা। বিরতিতে তাই যেতে হয় পিছিয়ে থেকে।
বিরতির পর ৬৩ মিনিটে এনজো ফের্নান্দেজ দারুণ একটা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। একটু পর তিনি দলের বিপদ বাড়ান লাল কার্ড দেখে। কলম্বিয়ার গোলের যোগানদাতা কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন তিনি। সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
১০ জনের দল, ১-০ গোলে পিছিয়ে, এমন পরিস্থিতিতে অতীতে মেসি-জাদুর দিকেই তো চেয়ে থাকত আর্জেন্টিনা! তবে সবশেষ সংবাদ সম্মেলনেই কোচ স্কালোনি বলেছিলেন, আর্জেন্টিনা এখন শুধু মেসির দিকে চেয়ে থাকে না। তা প্রমাণ করতেই হয়তো, কোচ স্কালোনি ৭৭ মিনিটে তুলে নেন মেসিকে। তার বদলে মাঠে আসেন এসকিয়েল পালাসিওস।
মেসিকে তুলে দেওয়ার ২ মিনিট পরই আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় গোলের দেখা। থ্রো ইন থেকে বল পেয়ে দারুণ পায়ের কাজে কলম্বিয়ার লো ব্লক ভাঙেন থিয়াগো আলমাদা। বক্সের ডান পাশ থেকে দারুণ এক কোণাকুণি শটে বল আছড়ে ফেলেন জালে। ১-১ সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা।
তবে দলটা আবারও গোল হজমের খুব কাছে চলে গিয়েছিল। ৮৬ মিনিটে তাদের ত্রাতা হয়ে আসে ক্রসবার। ফলে গোলের দেখা পায়নি কলম্বিয়া। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দলটাকে। ফলে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর কলম্বিয়াকে হারানো হলো না আর্জেন্টিনার।