প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জী, হুগলি জেলা প্রতিনিধি:
ভরা শ্রাবন মাস চলছে, তার সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টির দাপট। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা তাই জলমগ্ন। মফস্বল থেকে শুরু করে জল জমেছে শহর কলকাতাতেও!
তা সামলাতে গিয়ে এক প্রকার হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এখনো জল নামেনি হুগলি জেলার খানাকুলে, পঞ্চায়েত ভবনের দোতলার বারান্দা নাকি নৌকা বাঁধার ঘাট তা দেখে বোঝার উপায় নেই!
সেখানে ত্রাণ নিয়ে আসছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা, নৌকা বাঁধছেন, ত্রাণের বস্তা নামাচ্ছেন তারপর নৌকা সরাচ্ছেন। যদিও এই দৃশ্যের সাথে পরিচিত খানাকুলবাসী। জলের স্রোত কমলেও জলস্তর সে ভাবে কমেনি এখনো। তাই এভাবেই ত্রাণ আসছে পঞ্চায়েতে।
প্রশাসন ত্রাণ পাঠানোর দাবি করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে আভিযোগ উঠেছে বারবার। একইসাথে পানীও জলের হাহাকারও শুরু হয়েছে। দুর্গতদের আভিযোগ, পানীও জলের কল এবং গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্পগুলি জলমগ্ন হয়ে থাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি পাশাপাশি সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণ বন্টনের দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন সর্বদলীয় গ্রাম কমিটি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৩০ হাজার করে পানীয় জলের পাউচ পাঠানো হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরও পৃথক ভাবে জল সরবরাহ করছে।
অবস্থার উন্নতির আশায় এখন জলমগ্ন এলাকাগুলি।