মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। সকাল থেকেই এই দুটি নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ শুরু হয়। তবে দুপুরে দিকে কিছুটা কমে গেলে বেলা আড়াইটার পর থেকে ঘরমুখো সাধারণ যাত্রীদের ঢল নামে।
সরকারি ছুটির প্রথম দিনেই নাড়ির টানে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে এসব মানুষ। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মায় কিছুটা স্রোত বেড়েছে এবং নৌপথের দুরত্ব বৃদ্ধির কারণে ফেরিগুলো ট্রিপের সময় বেশি লাগছে। এতে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা কিছুটা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ৪০টির মতো পরিবহন বাস, শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়িসহ জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদে ফেরিঘাট দুটিতে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীদের চাপ থাকলেও কোনো ভোগান্তি নেই। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বড় আকারের ৯টি রো রো, ৩টি মিডিয়াম ও ৫টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি চলাচল করছে।
অন্যদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ৬টি ফেরি, যাত্রীবাহী ১৪টি লঞ্চ ও ১২৫টি স্পিডবোড চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম শেখ।
সাভারের সোয়েটার কারখানার শ্রমিক রনি হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়াতে যাচ্ছি। মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি নেই, তবে পাটুরিয়া আসার পর ফেরিতে উঠতে ৩০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরও স্বস্তিতেই নদী পার হতে পারছি।
ট্রাক ড্রাইভার আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদে পশুর ট্রিপ দিচ্ছি। তবে ঘাটে এসে ফেরি পেতে কিছুটা সময় লাগছে। কিন্তু কয়েক বছর আগে এই ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হতো।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে নৌবহরের পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় ভোড়ান্তি ছাড়াই যানবাহন ও যাত্রীরা নদী পার হয়ে গন্তব্যে চলে যেতে পারছে। ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপও রয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।