আইপিএল ২০২০, হায়দ্রাবাদ বনাম পঞ্জাব ম্যাচে দাপটের সঙ্গে শুরু করল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দুই ওপেনারের দাপটে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় টিম ওয়ার্নার।

প্রথমে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদ কিংস একাদশ পঞ্জাবের সামনে ২০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে। যা সহজ ছিল না। শুরুটাও ভাল হয়নি। শেষবেলায় নিকোলাস পুরানের ঝোড়ো ব্যাটিং তাই জেতাতে পারল না কিংসদের। ৬৯ রানে হারতে হল লোকেশ রাহুল অ্যান্ড টিমকে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো দুরন্ত ব্যাটিং করে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন। এই দু’জন ছাড়া দলের আর কেউই কিছু করতে পারেননি। ডেভিড ওয়ার্নার ৪০ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন।

ভাগ্য খারাপ অবশ্য বেয়ারস্টোর। অল্পের জন্য হাতছাড়া করলেন সেঞ্চুরি। রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন। সাতটি বাউন্ডারি ও ছ’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৫৫ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেললেন। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে এলবিডব্লু না হলে পরের বলেই হয়তো সেঞ্চুরিটা হাঁকিয়ে ফেলতেন। কিন্তু তেমনটা হল না।

এরপর আবদুল সামাদ ৮, মণীশ পাণ্ড্যে ১, প্রিয়ম গর্গ ০, অভিষেক শর্মা ১২ রান করে আউট হলেন। ১০ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকলেন কেন উইলিয়ামসন। পঞ্জাবের হয়ে তিন উইকেট নিলেন রবি বিষ্ণোই।  দুই উইকেট অর্শদীপ সিংয়ের। একটি উইকেট নেন মহম্মদ শামি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি কিংস একাদশ পঞ্জাবের। ভরসা দিতে পারেননি দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ওপেনার অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। লোকেশের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১১ রান। ছয় বল খেলে ৯ রান করে ফিরে যান মায়াঙ্কও। তিন নম্বরে নেমে ১১ রানে আউট হন সিমরান সিং।

এখান থেকেই চার নম্বরে নেমে মাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান। ১৭ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। পাঁচটি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৭ বলে তাঁর রান ৭৭। কিন্তু সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না উল্টোদিকে। যে কারণে দুরন্ত ব্যাটিং স্বত্বেও হারতে হল পঞ্জাবকে।

এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৭, মনদীপ সিং ৬, মুজিব উর রহমান ১, মহম্মদ শামি ০, শেলডন কটরেল ০ রানে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিন উইকেটের মালিক রবি বিষ্ণোই। ১৬.৫ ওভারে ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের ইনিংস।

হায়দ্রাবাদের হয়ে তিন উইকেট নেন রশিদ খান। দুটো করে উইকেট খলিল আহমেদ ও টি নটরাজনের। এক উইকেট অভিষেক শর্মার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে