Dhaka ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে জ্বালানি তেল সরবারহ বন্ধ করে দিলো সৌদি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • ৯২ Time View

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল সৌদি আরব। ওআইসি-তে বিভাজনের হুমকি দেওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে দেশটি। ইমরান খান সরকারকে ঋণ হিসেবে জ্বালানি তেল সরবারহ করত সৌদি। এবার তা বন্ধ করে দেওয়া হল। সৌদির সঙ্গে পাকিস্তানের বিবাদের কেন্দ্রে সেই কাশ্মীর। খবর জিনিউজের

২০১৮ সালে ধুঁকতে থাকা দেশকে বাঁচানের জন্য সৌদির কাছ থেকে ৬.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান সরকার। ওই ঋণের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দেওয়া হয় তেল হিসেবে। চার মাস আগে ওই ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছে ইমরান খান সরকার। তার পর গত দুমাস হল ওই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে আর ওই পদ্ধতিতে ঋণ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।

কেন এমন সিদ্ধান্ত সৌদির? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওআইসি নিয়ে সৌদিকে হুমকি দেওয়ার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছে সৌদি সরকার। সম্প্রতি পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক টিভি টক শোতে বলেন,  কাশ্মীর নিয়ে সৌদি সরকার যদি ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকেন তাহলে ইমরান খান নিজে তাঁর বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করবে।

এদিকে, ওআইসি বহুবার কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ওআইসিতে কাশ্মীরের বিষযটি তোলার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে পাকিস্তান। এনিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করাতে চাইছে ইমরান খান সরকার। কেন কাশ্মীর নিয়ে সৌদি মাথা ঘামাচ্ছে না তার একটি গুরুতর কারণও রয়েছে। তুরস্কের এরদোগান সরকারের সঙ্গে ইমরান খানের মাখামাখি খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না সৌদি আরব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

পাকিস্তানকে জ্বালানি তেল সরবারহ বন্ধ করে দিলো সৌদি

Update Time : ০৭:০০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল সৌদি আরব। ওআইসি-তে বিভাজনের হুমকি দেওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে দেশটি। ইমরান খান সরকারকে ঋণ হিসেবে জ্বালানি তেল সরবারহ করত সৌদি। এবার তা বন্ধ করে দেওয়া হল। সৌদির সঙ্গে পাকিস্তানের বিবাদের কেন্দ্রে সেই কাশ্মীর। খবর জিনিউজের

২০১৮ সালে ধুঁকতে থাকা দেশকে বাঁচানের জন্য সৌদির কাছ থেকে ৬.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান সরকার। ওই ঋণের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দেওয়া হয় তেল হিসেবে। চার মাস আগে ওই ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছে ইমরান খান সরকার। তার পর গত দুমাস হল ওই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে আর ওই পদ্ধতিতে ঋণ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।

কেন এমন সিদ্ধান্ত সৌদির? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওআইসি নিয়ে সৌদিকে হুমকি দেওয়ার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছে সৌদি সরকার। সম্প্রতি পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক টিভি টক শোতে বলেন,  কাশ্মীর নিয়ে সৌদি সরকার যদি ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকেন তাহলে ইমরান খান নিজে তাঁর বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করবে।

এদিকে, ওআইসি বহুবার কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ওআইসিতে কাশ্মীরের বিষযটি তোলার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে পাকিস্তান। এনিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করাতে চাইছে ইমরান খান সরকার। কেন কাশ্মীর নিয়ে সৌদি মাথা ঘামাচ্ছে না তার একটি গুরুতর কারণও রয়েছে। তুরস্কের এরদোগান সরকারের সঙ্গে ইমরান খানের মাখামাখি খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না সৌদি আরব।