ক্রীড়া ডেস্ক :
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৩৭ রান। ১৮তম ওভারে আসা হাসান আলীকে একটি করে চার-ছয় হাঁকিয়ে ১৫ রান তুলে নিয়ে লক্ষ্যটা ১২ বলে ২২ বানিয়ে ফেলে অজিরা। পরে আফ্রিদির করা ১৯তম ওভারে তিনটি সুযোগ তৈরি হলেও তা পক্ষে না আসায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান।
পরপর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ বল হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেন ম্যাথিউ ওয়েড।
অপরাজিত থাকেন মাত্র ১৭ বলে ৪১ রানের টাণ্ডুবে ইনিংস খেলে। যাতে ছিল আফ্রিদির করা ওই ওভারে টানা তিনটিসহ চারটি ছক্কা ও ২টি চারের মার। সঙ্গী মার্কাস স্টইনিস অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর এই ইনিংসে ছিল দুটি করে চার-ছক্কার মার।
এর আগে কাঙ্ক্ষিত ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে বাধ্য হয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেও উড়ন্ত সূচনাই করে পাকিস্তান। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
দলের পক্ষে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর জামান। এছাড়া বাবর আজম ৩৯ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬৭ রান করেন। অজিদের পক্ষে মিচেল স্টার্ক ২টি এবং অ্যাডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্স একটি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাব দিতে নেমে আফ্রিদি তোপে শুরুতেই ফিঞ্চকে (০) হারিয়ে বিপদে পড়ে অজিরা। যেখান থেকে মার্শকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৫ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে মার্শ (২২ বলে ২৮) বিদায় নিলেও লড়াই চালিয়ে যান অজি ওপেনার।
তিনটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ছুটছিলেন ফিফটির লক্ষ্যেই। তবে মাত্র ১ রান দূরে থাকতেই ওয়ার্নারকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেন শাদাব খান। মাঝে স্মিথ (৫) ও পরে ম্যাক্সওয়েলকে (৭) ফিরিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন পাক স্পিনার। যাতে ৯৬ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় অজিরা।
২৬ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব খান। তবে ম্যাচ সেরা হন ম্যাথিউ ওয়েডই।