অনলাইন ডেস্ক:
পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ১২০তম জন্মদিন আজ। দিনটিকে ঘিরে পল্লীকবির জন্মস্থান ফরিদপুরে রয়েছে নানা আয়োজন।
১৯০৩ সালের আজকের এই দিনে কবি জসিম উদ্দীন তার নানাবাড়িতে, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আনসার উদ্দিন। মা মমতাজ বেগম মনিমালা।
কবি জসীম উদ্দীন ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও ১৯২৯ সালে বিএ, এবং ১৯৩১ সালে কলকাতা কলেজ থেকে এমএ পাশ করে ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ি কলেজে গবেষণা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে প্রভাষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন।
দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পুরস্কার ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ (১৯৫৮), ইউনেস্ক পুরস্কার (১৯৬৫), রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডি. লিট. উপাধিলাভ(১৯৬৯), একুশে পদক প্রাপ্তি (১৯৭৬) ও ১৯৭৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মরণোত্তর ‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ পুরস্কার লাভ করেন।
কবি জসীম উদ্দীন ১৩ই মার্চ ১৯৭৬ তারিখে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে তার নিজ গ্রাম বিমলগুহে সমাধিস্থ করা হয়।
জসীম উদ্দীনের রচনাবলী:
কাব্যগ্রন্থ :
রাখালী (১৯২৭), নকশী কাথার মাঠ (১৯২৯), বালু চর (১৯৩০), ধানখেত (১৯৩৩), সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪), হাসু (১৯৩৮), রঙিলা নায়ের মাঝি(১৯৩৫), রুপবতি (১৯৪৬), মাটির কান্না (১৯৫১), সকিনা (১৯৫৯), সুচয়নী (১৯৬১), ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২), মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩), হলুদ বরণী (১৯৬৬), জলে লেখন (১৯৬৯), কাফনের মিছিল (১৯৮৮)
নাটক :
পদ্মাপার (১৯৫০), বেদের মেয়ে (১৯৫১), মধুমালা (১৯৫১), পলীবধূ (১৯৫৬), গ্রামের মেয়ে (১৯৫৯), ওগো পুস্পধনু (১৯৬৮), আসমান সিংহ (১৯৮৬)
আত্মকথা :
যাদের দেখেছি (১৯৫১), ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায় (১৯৬১), জীবন কথা (১৯৬৪), স্মৃতিপট (১৯৬৪)
উপন্যাস :
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
ভ্রমণ কাহিনী :
চলে মুসাফির (১৯৫২), হলদে পরির দেশে (১৯৬৭), যে দেশে মানুশ বড় (১৯৬৮), জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫)
সঙ্গীত :
জারি গান (১৯৬৮), মুর্শিদী গান (১৯৭৭)
অন্যান্য :
বাঙালির হাসির গল্প, ডালিমকুমার (১৯৮৬)