সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, পর্যটন শিল্প ও আর্থিক সামর্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কোভিড-১৯ জনিত বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সারাবিশ্বের জন্য ঈর্ষণীয়। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা ও সামর্থ্য অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এ কারণে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে এবং পর্যটকের সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানস্থ স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ) আয়োজিত অ্যাসোসিয়েশনের উইমেন স্ট্যান্ডিং কমিটির অভিষেক ও গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, পর্যটন ও সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় ৫০৩টি সংরক্ষিত প্রত্নস্থল বা পুরাকীর্তি রয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এসব প্রত্নস্থলে পর্যটন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। পর্যটনের মাধ্যমে এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রুবিনা আক্তার মীরা এমপি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।
‘খাদ্য, পর্যটন ও নারী’ শীর্ষক কি-নোট (মূল প্রবন্ধ) উপস্থাপন করেন মোখলেছুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কিশোর রায়হান।
অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধিত গুণিজনরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা এবং বিশিষ্ট কবি, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী কাজী মোহিনী ইসলাম।