পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ঢাকা উত্তরখানের নেহা এন্টারপ্রাইজ (ব্যাটারী কারখানা) কে ৬ লক্ষ টাকা এবং সেভেন ওয়ান প্লাস্টিক ইন্ডাট্রিজ লিঃ কে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে অবৈধ কারখানা দুটির উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, উত্তরখানের বেপারীপাড়া এলাকায় নদী দূষণ ও দখলের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন এবং তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বিহীন ব্যাটারী তৈরীর কারখানা ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, ঢাকার মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযানে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব। পরিবেশ অধিদপ্তর, মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর পরিদর্শক মোঃ মির্জা আসাদুল কিবরিয়া। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন এ সকল ব্যাটারী কারখানা হতে সৃষ্ট এসিড মিশ্রিত ঝুঁকিপূর্ণ তরল বর্জ্য এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা হতে সৃষ্ট স্লাজ মিশ্রিত অপরিশোধিত ঝুঁকিপূর্ণ তরল বর্জ্য ড্রেনের মাধ্যমে অপরিশোধিত অবস্থায় তুরাগ নদীতে নির্গমনের মাধ্যমে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত তুরাগ নদীকে ব্যপকভাবে দূষিত করছিল। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্তা/আইনি সত্তা হিসাবে ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে এ নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অবৈধ কারখানাসমূহ বন্ধ করলে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।