সুকুমার বাবু দাস,স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভৌগোলিক কারণেই পঞ্চগড় একটি অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় একটি জেলা যা পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।

এটি চতুর্থ দেশীয় একটি স্থল বন্দর। এ স্থল বন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান যাতায়াত করা যায়। এই বাংলাবান্ধায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার টাওয়ার। এই টাওয়ার নির্মাণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। । টাওয়ার নির্মাণ হলে পঞ্চগড় একটি পর্যটন শহর হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।পঞ্চগড় থেকে নেপাল ৬১ কিমি, ভুটান ৬৮ কিমি, চীন ২০০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। এ কারণেই পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধার ওপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ভারতে যায় ব্যবসা বাণিজ্য, চিকিৎসাসহ নানা কাজে।এ বন্দর দিয়ে অল্প খরচে, কম সময়ে ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন হয়ে এশিয়া ইউরোপ যাওয়া যাবে। অর্থনৈতিক ভাবে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে পঞ্চগড়। তখন হিমালয় পর্বতমালা আরও কাছ থেকে দেখা যাবে। প্রতিদিন অসংখ্য লোক ভারতে চিকিৎসাসহ নানা কাজে যাতায়াত করেন আর ব্যবসা বাণিজ্যের দিক দিয়ে এ স্থলবন্দরটি দিন-দিন সফলতার মুখ দেখছে।পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদত সম্রাট বলেন, প্রতিবছর হাজার-হাজার পর্যটক পঞ্চগড় ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধায় জিরো পয়েন্ট দেখতে যায়। কিন্তু সেখানে থাকা আর খাওয়ার জন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই। পঞ্চগড়ের পর্যটন শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা পঞ্চগড় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি, এটি নির্মাণ করা শেষ হলে পঞ্চগড়ের পর্যটন শিল্পে আর একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে। ইতিমধ্যে ওয়াচ টাওয়ারের কাজ ২০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমি নির্মাণ কাজ পরিদর্শনও করেছি।পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আব্দুল আলিম খান ওয়ারেশী বলেন, টাওয়ারটি মুলত হবে পাঁচ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন। মাঝখান দিয়ে থাকবে একটি সংযোগ সেতু। সে সেতু দিয়ে এক ভবন হতে অন্য ভবনে যাওয়া যাবে। একপাশের ভবনের নীচতলায় হবে একটি যাদুঘর। যেখানে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিসহ ভারত- বাংলাদেশের সকল চুক্তির চিত্র থাকবে। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পঞ্চগড়ের ইতিহাস ঐতিহ্য সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। উভয় পাশের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা হবে আবাসিক হোটেল । ৫ম তলা হবে ওয়াচ টাওয়ার, কফি কর্ণার এবং রেস্টুরেন্ট সেখানে পর্যটকরা খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন।২য় ভবনের সংযোগ সেতুটি হবে একটি শপিং মল, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান এই চারটি দেশের স্টল থাকবে। সম্পূর্ণ স্থাপনাটি হবে স্টিল স্ট্রাকচারের। এটি নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে ২০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।নির্মাণ শেষ হলে পঞ্চগড় জেলার পর্যটন আকর্ষণ অনেক বৃদ্ধি পাবে। এটি নির্মাণের পর চারটি দেশের ভ্রমণ পিপাসু আর পর্যটকরা ভীড় জমাবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আর বাংলাবান্ধায়। হাজির হবে হিমালয় পর্বতমালা আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে। দেখতে যাবে পঞ্চগড়ের চা বাগান।জেলা আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, এ টাওয়ারটি নির্মাণ করা হলে পঞ্চগড়ে পর্যটন শিল্পের প্রসার হবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে