মন্জু হোসেন, ব্যুরো প্রধান (পঞ্চগড়):

পঞ্চগড়ে দিনদিন কমছে তাপমাত্রা,এবার পঞ্জিকার যেন পাতা ধরেই শীতের আবহ এসেছে প্রকৃতিতে। অনেক জায়গায় ঘন কুয়াশার দাপট থাকছে ভোর থেকে দুপুর অবধি। উত্তুরে হাওয়ায় শীতও জেঁকে বসছে ধীরে ধীরে।

এতে করে বাড়ছে শীত। আর এই শীতে জবুথবু অবস্থা উত্তরের জনপদের মানুষের।তীব্র শীতে বেশি কষ্টে আছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই।

বইছে মৃদু কখনো মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ। অব্যাহত কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারনে বেড়েছে ঠান্ডা। অনেকেই শীতে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

পঞ্চগড়ের গত ৬ দিনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। কখনো মৃদু কখনো মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে হিমালয় ঘেঁষা এ জেলায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, রোববার (২০ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের মাত্রা, অব্যাহত কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে জেঁকে বসেছে শীত। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা শহরেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আর দরিদ্র শীতার্ত মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তবে সকাল থেকে দেখা মিলেছে সূর্যের।

পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলায় কমেছে তাপমাত্রা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে