নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে চার যুবক। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে তা ভাইরাল করে দিয়েছে।
রোববার ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে টনক নড়ে প্রশাসনের।
নোয়াখালীর সূবর্ণচরের লোমহর্ষক গনধর্ষণের ঘটনা প্রায় দুই বছর হতে চললো যা আজও সবাইকে শিহরিত করে। আবারও সেই একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তাই এ ঘটনা এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থেকে যায়। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসতঘরে তালা ঝুলছে। ভুক্তভোগী পরিবার কোথায় তা কেউ জানে না।
বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ রোববার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কৌশলে ধর্ষক আবদুর রহিমকে (২৭) গ্রেফতার করেন এসআই সালাহউদ্দিন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ বতর্মানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের ঘরে তালা ঝুলছে, ওই গৃহবধূকে তার বসতঘরে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে পাওয়া গেলে জানা যাবে এটি গণধর্ষণ না নির্যাতনের ঘটনা।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।