হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আতঙ্ক আর লকডাউন সাথে নিষেধাজ্ঞা নেই মানার বালাই। আইন থাকলেও যেন ঘুমিয়ে আছেন কর্তারা। লকডাউন ও সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অনুষ্ঠিত অষ্টমীর স্নান। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে জনতার ঢল। আতঙ্কের নাম যখন করোনা। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘর মুখি মানুষ। সকল প্রকার গণসমাবেশ নিষেধাজ্ঞা। চলছে লকডাউন, বন্ধ রয়েছে ধর্মীও সভা, সমাবেশ। মঙ্গলবার চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রে অনুষ্ঠিত অষ্টমীর স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১দিন আগে থেকেই ব্রহ্মপুত্রের তীরে জমায়েত হয় এবং স্নান উৎসবে যোগ দেন হিন্দু পূণ্যার্থীরা। প্রশাসনের তেমন কড়াকড়ি না থাকায় অনেকে খুব ভোরেই ¯স্নান সেরে নিয়েছে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, সোমবার থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মাবলীরা ব্রহ্মপুত্রে পাড়ে সমাবেত হয় এবং স্নান উৎসবে যোগ দেন। তারা আরো জানান, তবে প্রশাসন জানা মাত্রই সেখানে যাচ্ছেন এবং সমাবিত মানুষকে বাড়িতে যাওয়ার আহব্বান যানাচ্ছেন।
স্নান উৎসবে যোগ দেয়া অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান বছরের একটি দিন আর এই দিনটি আমাদের জন্য বড় একটি দিন পাপ মোচনের দিন, না আসলে কি চলে। তবে আয়োজককারীরা বলেন করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেজ্ঞা না থাকলে এবারে প্রায় ৫লাখেরও বেশি হিন্দু ধর্মাবলীর পূণ্যার্থীরা যোগ দিত স্নান উৎসবে। তবে এলাকাবাসীরা জানান, লকডাউন থাকলেও হাজার হাজার মানুষ সমাবিত হয়ে উৎসব পালন করছে এটা আমাদের জন্য বড় আতঙ্কের না জানি করোনার থাবা আমাদের এখানে হানা দেয় কি না। চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ অনোয়ারুল ইসলাম বলেন আমাদের টহল সব স্থানে আছে এর মধ্যে যারা এসেছিল তাদের ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা খবর পাওয়া মাত্রই যেখানে সমাবিত হচ্ছে মানুষজন সেখানেই যাচ্ছি এবং সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিছিন্ন ভাবে স্নান উৎসবে যোগ দিয়েছেন হিন্দুধর্মাবলীরা তা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন এ বিষয়ে নজরদারী বাড়াতে অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে এছাড়াও স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিভিন্ন ভাবে প্রচারও করা হয়েছিল।