মোংলা প্রতিনিধি:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।
বন বিভাগ সূত্রে মতে সুন্দরবনের আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বনভূমি চার হাজার ৮৩২ এবং জলাভূমি এক হাজার ১৮৫ বর্গকিলোমিটার। ১৯৯৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, এই বনভূমি ও জলাভূমিতে বাস করে ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ ও ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী।
সুন্দরবনের আছে পাশে ছোট বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। সুন্দরবনের এ জলাভূমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু প্রায়ই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী,জেলে-বাওয়ালী অধিক মুনফার আশায় সুন্দরবনের প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করে এজন্য সুন্দরবন অভ্যয়ারন্যে এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে,কিছু অসাধু জেলে-বাওয়ালী সুন্দরবনের প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করে থাকে।কাউকে কিছু না জানিয়ে অতি গোপনে বন বিভাগে এ সকল জেলে-বাওয়ালী অধিক লাভবানের জন্য মাছ ও কাঁকড়া সহ অন্যন্য কাজের জন্য লুকিয়ে অভ্যয়রন্যে এলাকায় প্রবেশ করে । এটি নির্মুল করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।এ জন্য জেলে বাওয়ালীদের প্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার বলয়।বিভিন্ন টিম গঠনের মধ্যে দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে টহল কার্যক্রম। ইতিমধ্যে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে এ সকল প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকা থেকে জাল,নৌকা,ইঞ্জিন চালিত ট্রলার সহ জেলে বাওয়ালীদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
উল্লেখ্য ২০১৯ সাল থেকে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জুলাই ও আগস্ট মাস সুন্দরবনের নদী ও খালগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।
তাই গত ১ জুলাই থেকে ৩১আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খাল ও জলাভূমিতে জেলেদের প্রবেশ ও সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধরাখে বন বিভাগ।
১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাভাবিকভাবেই জেলেরা মাছ ধরতে শুরু কোরছে।সুন্দরবনে মৎস্য আহরণের উপর উপকূলের প্রায় ৩০ হাজার জেলে পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্ভর। এদের বেশির ভাগই জেলেই বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মোংলা ও আশপাশের এলাকাসহ সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীও বনের মৎস্য সম্পদ আহরণও কেনা-বেচার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।