ক্রীড়া ডেস্ক:
ছিলো ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা, সেই ম্যাচে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্যে খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং অবিশ্বাস্য কিছুর আশা জাগিয়েছিলো। ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে জন ক্যাম্পবেল আর জার্মেই ব্ল্যাকউড দেখেশুনে খেলে শুরুর বিপদ কাটিয়ে দিয়েছেন। তৃতীয় দিন শেষে জয়ের পথে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছে তারা।
জিততে হলে আর দরকার ৩৫ রান। ক্যাম্পবেল ২৮ আর ব্ল্যাকউড ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।
এরআগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রান।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে পার করে সাকিব আল হাসানের দল। অধিনায়ক সাকিব ও নুরুল হাসানের জোড়া অর্ধশতকে টেস্টে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে শেষ সেশনে ১৪.৫ ওভার ব্যাটিং করেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা, কেমার রোচই নিয়েছেন এর ৩টি। ফলে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
অ্যান্টিগায় প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এলোমেলো ব্যাটিং ছিল বাংলাদেশের। প্রথমসারির ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। মান বাঁচিয়েছে সাকিব আল হাসান-নুরুল হাসান সোহানের রেকর্ড জুটি। তবে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে তাদের আউট হতেই ২৪৫ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ৮৩ রানের লিড পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮৪ রানের মামুলী লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারী দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান-নুরুল হাসান সোহান। তৃতীয় সেশনে তাদের জুটি ভেঙে সব সম্ভাবনার ইতি ঘটিয়েছেন কেমার রোচ। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরেই ক্যাচ তুলেছেন সাকিব। সাকিবের বিদায়ে ভাঙে ১২৩ রানের অসাধারণ একটি জুটি।
সাকিবের বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানও টেকেননি বেশিক্ষণ। রোচের বলেই গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। দারুণ লড়াই করা এই ব্যাটার ১৪৭ বলে ফিরেছেন ৬৪ রানে। যাতে ছিল ১১টি চার। প্রতিষ্ঠিত শেষ দুই ব্যাটার ফেরার পর মোস্তাফিজ কিছু শটস খেলে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেন ঠিকই, কিন্তু স্থায়ী হননি। আলজারি জোসেফের বলে ৭ রানে বোল্ড হলে শেষ উইকেটটি তুলে নেন রোচ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৯০.৫ ওভারেই।
চতুর্থ ইনিংসে এ মাঠে এখন পর্যন্ত রান তাড়া করতে নেমে হারের ঘটনা আছে একটিই। ২০১৯ সালে ভারতের দেওয়া ৪১৯ রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গিয়েছিল ১০০ রানেই।