রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য আবাসন নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন।
আজ রোববার বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ বছর বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য আবাসন: ভবিষ্যতের উন্নত নগর’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। এর সাথে মানুষের রুচি, সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভৌগলিক অবস্থানসহ নানা উপাদান জড়িত থাকে। তাই আবাসন মানুষের আকাঙ্খার সাথে মানানসই, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত হওয়া আবশ্যক। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও গ্রামকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রীয় দর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূরীকরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার প্রত্যেক গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১): রূপকল্প ২০২১’ এ আবাসন ও অন্যান্য নাগরিক সেবার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নগর উন্নয়ন কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিবেশ, মৌলিক পরিষেবা এবং নগরায়নের স্থানিক মাত্রা মোকাবিলার মাধ্যমে আবাসনের যোগান নিশ্চিতকরণের উপর জোর দেয়া হয়েছে। আবাসন খাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উন্নততর নগরায়ণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরে বিপুল সংখ্যক মানুষ বস্তিসহ অপরিকল্পিত ও অনানুষ্ঠানিক জনবসতিতে বসবাস করে থাকে। এ বিপুল জনগোষ্ঠী বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধার বাইরে থাকে।
– বাসস