নিউজিল্যান্ড গিয়ে মূলত হোটেলবন্দি হয়ে সময় কাটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। তামিম-মুশফিকদের মানতে হচ্ছে কঠোর কোয়ারেণ্টাইন বিধি। মূল সিরিজ শুরু হওয়ার আগে টাইগারদের দিতে হবে চারটি করোনা টেস্ট।
এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় হওয়া করোনা টেস্টে উতরে গেলেন ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সবাই।
দ্বিতীয় দফায় করোনা নেগেটিভ হওয়ায় ক্রিকেটার ও স্টাফদের কোয়ারেণ্টাইন কঠোরতায় কিছুটা শিথিল হচ্ছে। এর ফলে হোটেলের লবি ও বাগানে ঘোরাঘুরি করতে পারবে টাইগাররা। ১ মার্চ পর্যন্ত রুম কোয়ারেন্টাইন। তবে আরও দুই বার কোভিড-১৯ টেস্ট দিতে হবে পুরো সফরকারী দলকে। সব টেস্টে নেগেটিভ হলেই কেবল ১৪ দিন পর খোলা আকাশের নিচে বের হওয়ার সুযোগ মিলবে তামিম-মুশফিকদের।
এসময়ে ২ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে পারবে টাইগাররা। তবে সব টেস্টে নেগেটিভ হলে আগামী ১০ মার্চ থেকে ইচ্ছে মতো চলাফেরা করতে পারবেন তামিম-মুশফিকরা। ওইদিনই কুইন্সটাউনে যাবে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। সেখানে অনুশীলন চলবে টানা ৫ দিন।
তার পর ১৬ মার্চ সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর সেখান থেকে ডুনেডিনে যাবে দল। ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে মূল সিরিজ। এরপর ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডে। শেষ ওয়ানডেটি হবে ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ হ্যামিল্টনে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে নেপিয়ারে ৩০ মার্চ। অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেদ।