রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সভ্যতার উষালগ্ন থেকে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক সকল কর্মকান্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা অগ্রগণ্য। সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে বাল্যবিয়ে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও বিপণনের সুবিধা প্রদান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল ও বিধিবিধান হিসেবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩), পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের টেকসহ উন্নয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সহযাত্রী হিসেবে কাজ করবেন। মুজিববর্ষে নারী উন্নয়নে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি নারী-পুরুষ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে