মন্ত্রিসভা আজ ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে কিছু দিন আগে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশের পরিবর্তে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০২০’ আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০২০’, ’র খসড়া যা অধ্যাদেশ আকারে ১৪ অক্টোবর অনুমোদিত হয়েছিল জাতীয় সংসদের পরবর্তী বিশেষ অধিবেশনে তা উত্থাপিত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যোগদান করেন এবং একই সময়ে মন্ত্রী ও সচিবগণ বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত হন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই এটা করা হয়েছে। যেহেতু অধ্যাদেশ আকারেই একটি আইন জারি করা হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বিল আকারে এটি উত্থাপিত হবে। একই সঙ্গে খসড়া আইনটিও অনুমোদিত হয়েছে।’

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই খসড়া আইনে ধর্ষকদের জন্য শাস্তির বিধান ও অন্যান্য শাস্তি একই রয়েছে এবং তা অধ্যাদেশেও ছিল। কিন্তু আইন পাসের সঙ্গে সঙ্গে অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ১১তম বিশেষ অধিবেশনের রাষ্ট্রপতির ভাষণের সংশোধিত খসড়া অনুমোদিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সংসদে দেয়া তাঁর ভাষণে জাতির পিতার জীবন ও কর্ম, চলমান কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় সরকারের সফল পদক্ষেপ এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে অসামান্য অর্জন সম্পর্কে তুলে ধরবেন।

মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে সক্রিয় অংশ গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক আলোচনা করা হয় এবং এ বিষয়ে সরকারের নেয়া পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিতব্য পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ বিষয়েও আলোচনা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মাসেতুর ৩৪তম স্প্যান আজ বসানো হয়েছে এবং সেতুটির ৫ দশমিক ১ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

আগামী বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাকি ৭টি স্প্যান বসানো সম্পন্ন হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

(সূত্র- বাসস)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে