রাজশাহী প্রতিনিধি :
নামধারী চাঁদাবাজ কথিত সাংবাদিক দ্বারা হামলার স্বীকার ও হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের সন্তানেরা।
আজ সোমবার সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে একটি ভবনের নিচে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো: বাদশা, মো: জাবেদ আলী, মো: আবেদ আলী,ঠিকাদার সেলিম, ঠিকাদার মো: কালো বাবুসহ সন্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের ছোট ছেলে আবেদ আলী বলেন,গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী আমার ভাই জাবেদ আলী তার নিজ পেশা মাটি কাটার কাজে রাজপাড়া থানাধীন মহিলা কমপ্লেক্স এর বিপরীতে নবনির্মত বিল্ডিং ”স্টেট ভিউ কাউনন্ডেশনের” প্রেজেক্ট স্কেভেটর মেসিন দিয়ে মাটি কাটার জন্য সকাল ৮টার সময় কাজ শুরু করলে ঢাকা থেকে প্রকাশিত (মাতৃজগৎ) পত্রিকার সাংবাদিক নামধারী ১-জাহিদ পিতা : ভুলু, সাং: নতুন বিলছিমলা, ২-পুলক পিতা অজ্ঞাত,সাং তেরখাদিয়া, ৩- একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আল ইমরান পিতা: ওয়াদুদ, সাং: বহরমপুর, ৪- মোজাম্মেল হক বাবু পিতা: মৃত কোড়হান হোসেন, ৫-সাব্বির, ৬-পিয়ারুল, ৭-রুবেলসহ আরো ৮/১০জন মিলে আমার ভায়ের সাইডে এসে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে স্কেভেটর মেসিনের ড্রাইভার জামিরুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে মারধোর করে স্কেভেটর মেসিন বন্ধ করে দেয়। এ সময় আমার ভাই জাবেদ আলী তেরখাদিয়া কামারুজ্জামান মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলো। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরনোর সময় মসজিদের গেটের সামনে আমার ভাই জাবেদকে থামিয়ে প্রথমে তারা একই কায়দায় ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমার ভাইকে মসজিদের সামনেই দেশীয় অস্ত্র/সস্ত্র নিয়ে এলো পাথারী মারধোর শুরু করে। এ ঘটনায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী নগরীর রাজপাড়া থানায় উপরোক্ত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে ১নম্বর আসামী জাহিদকে রাজপারা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর থেকে আমাকে ও আমার ভাই জাবেদকে কথিত নামধারী সাংবাদিক ও সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্য গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে ”দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম” সংবাদ নামক একটি আনলাইন পত্রিকায় আমি ও আমার ভাইয়ের নামে “রাজশাহী শহরের তান্ডব কারী জাবেদ ও আবেদ এদের রুখবে কে” শিরোনামে উদ্দেশ্য মূলকভাবে একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি মো: আবেদ আলী এমন মনগড়া সংবাদের তিব্র নিন্দা জানায়। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে সামাজিক ও মানুষের কল্যাণময়ি কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করি। আমার ভাই জাবেদ অতিতে বিএনপির রাজনীতিতে সপৃক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক রাজনৈতিক অভিযোগ থাকলেও বিগত ৪/৫ বছর থেকে সে বিএনপির রাজনিতির সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়। এর পরেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে গত নির্বাচনে একটি কুচক্রি মহল আমার ভাইকে বোমা হামলা মামলায় জড়িয়ে ছিলেন। সেই মামলা থেকেও আমার ভায়ের সম্পৃক্ততা না থাকায় মাননীয় আদালত আমার ভাইকে সেই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়।
সর্বশেষে আমি ও আমার পরিবার কথিত সাংবাদিক ও সন্ত্রাসী মহল দ্বারা হয়রানী বন্ধ ও আমার ভায়ের ওপরে হামলাকারী পুলক, আল ইমরান, মোজাম্মেল হক বাবু, সাব্বির, পিয়ারুল,রুবেলসহ সকল আসামীদের গ্রেফতারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মহোদয় ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, চাঁদা না দেয়ায় জাবেদ আলী নামের এক ঠিকাদারকে মারপিট করেছেন কথিত সাংবাদিক জাহিদ ও পুলক এবং ছাত্রলীগ নেতা আল-ইমরান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঠিকাদার বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।