ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিকে ৩–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা। দুই পর্ব মিলিয়ে বার্সেলোনার জয় ৪–২ গোলে।

‘ বাস্তবে নয়। মেসিকে শুধু স্বপ্নে বা প্লে স্টেশনে আটকানো সম্ভব ’
বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লিওনেল মেসি সম্পর্কে কথাটি বলেছিলেন নাপোলির কোচ গাত্তুসো। আজ বাস্তবে মেসিকে থামানোর সব চেষ্টাই তিনি করিয়েছিলেন শিষ্যদের দিয়ে। কিন্তু মেসিকে যে থামানো যায়নি ম্যাচের প্রতিবেদনের শিরোনামই তা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

গত মার্চে নাপোলির মাঠে প্রথম পর্বে ১–১ গোলে ড্র হওয়ায় আজ ন্যু ক্যাম্পে নুন্যতম গোলশূন্য ড্র করতে পারলেও অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যেত বার্সেলোনা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে কার্যকরী ফুটবলের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ৩–১ গোলের জয় নিয়েই শেষ আটে নাম লিখিয়েছেন মেসিরা।

ম্যাচ রিপোর্টে মেসির গল্পই লিখতে হবে বেশি। ৩–১ গোলের জয়ে বার্সেলোনা অধিনায়ক গোল করেছেন মাত্র একটি। তবে আরেকটি গোল করিয়েছেন, এই পর্যন্তই লিখেই থামা যাচ্ছে না। কারণ গতি , ক্ষিপ্রতা ও বুদ্ধির জোরে আদায় করে নিয়েছেন পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে কেবল বলটি জালে জড়িয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। মেসি নিজে আরও একবার বল জালে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু ভিআরের কল্যাণে তা বাতিল হয়ে যায়। তবুও ম্যাচটি মেসিময় বললে ভুল হবে না। বার্সেলোনার অন্য গোলটি ক্লেমেন্ত লংলের।

শুরুতে বার্সেলোনা সমর্থকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল নাপোলি। কিক অফের দুই মিনিটেই দ্রিস মের্তেনসের শট সাইডবার কাঁপিয়ে বাইরে চলে যায়। শুরুর ১০ মিনিট দাপটটা ছিল প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখা ইতালিয়ান ক্লাবটির। কিন্তু ১০ মিনিটে বার্সার ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার লংলে গোলের খাতা খুললে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বার্সার পারফরম্যান্সের ধারও যায় বেড়ে। রাকিতিচের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়িয়েছেন এই সেন্টারব্যাক।

২৩ মিনিটে মেসি জাদু শুরু। ডানপ্রান্ত ডি-বক্সের বাইরে থেকে চারজনকে পেছনে ফেলে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। উঠে অর্ধ শুয়ে থাকা অবস্থায় বাম পায়ের প্লেসিংয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে করেছেন ২–০। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তাঁর তৃতীয় গোল। কয়েক মিনিট পরে আরও একবার বল জালে জড়িয়েছিলেন। করেছিলেন গোলও উদযাপনও। কিন্তু ভিআরের কল্যানে হ্যান্ডবলে গোল বাতিল করেন রেফারি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে মেসির কল্যানেই পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। স্পটকিক থেকে গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ , ৩–০।

প্রথমার্ধেরই যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে কেবল ব্যবধান কমিয়েছে নাপোলি। ইনসিনিয়ে করেন গোলটি। দ্বিতীয়ার্ধে নাপোলি বার্সাকে দারুণভাবে চেপে ধরলেও আর কোনো গোলই করতে পারেনি কোনো দল।

রাতের অন্য ম্যাচে চেলসিকে ৪- ১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই পর্ব মিলিয়ে বায়ার্নের জয় ৭-১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে