ইমদাদুল হক ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
একটি জাতির বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ভূমিকা অপরিহার্য। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড ও উন্নতির পূর্বশর্ত। মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে মেরুদণ্ডের অপরিহার্যতা অপরিসীম। মেরুদণ্ড ছাড়া মানুষ যেমন চলাচল করতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে আরােহণ করতে পারে না।
তাই সর্বপ্রথম প্রয়ােজন দেশের আপামর জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তােলা। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। সাম্প্রতিক বিশ্ব মানুষের শক্তি ও কর্মের প্রভাবে প্রভাবিত। এ শক্তি মানুষ শিক্ষার সাহায্যে লাভ করেছে। তাই শিক্ষাকেই মডেল হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষা গুরুর।
সারা দেশের ন্যায় এই শিক্ষাকে মডেল হিসাবে গোড়ে তোলার লক্ষে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন “উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার” শিক্ষকমন্ডলীগন। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কে মডেল হিসাবে নয় শিক্ষাকেও মডেল হিসাবে নিতে চান অত্র প্রতিষ্ঠানের দক্ষ শিক্ষাকারীগরগন।
“উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখিল মাদ্রাসা” টি ১৯৯৩ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩নং সাগান্না ইউনিয়নের ঝিনাইদহ-চায়াডাঙ্গা মহাসড়কের “উত্তর নারায়ণ পুর” গ্রামে স্থাপিত হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শুরু কাল থেকেই বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সফলতা অর্জনের মধ্যে দিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয় তলা দৃষ্টি নন্দিত উত্তর নারায়নপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসাটি ২০১৭-১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসাবেও বিবেচিত হয়েছে। এখানে বিশাল আকারের খেলার মাঠসহ মাদ্রাসা সেন্টার ও আছে। এই দৃষ্টি জোড়ানো দাখিল মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক,অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ এলাকার সুশীল সমাজের বুদ্ধি পরামর্শ ও সহযোগিতায় শিক্ষার মান মডেল হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলোনায় বেশি।
মন জোড়ানো মডেল দাখিল মাদ্রাসাটিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান,শরীর চর্চা,কবিতা আবৃত্তি, ইসলামিক গান,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে শিক্ষার্থীদের আলাদা ভাবে পাঠদানের মাধ্যমেই শিক্ষাদান।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটু ভিন্ন রকম শিক্ষার মান,শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণসহ শিক্ষা গুরুদের দক্ষতা বৃদ্ধিমতা সন্তোষজনক হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক পরিকল্পনা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে মুগ্ধ হয়ে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় এক পত্রিকার সাংবাদিক “উত্তর নারায়ণ পুর দাখিল মাদ্রাসা” টাকে মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা গড়িয়ে এই মডেল শব্দটি জনশ্রুতি হতে থাকে।
এবিষয়ে “উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখিল মাদ্রাসা” র সুপার আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ “দৈনিক সময়ের সমীকরণ” কে বলেন,প্রতিষ্ঠানের কমিটি মন্ডলী,শিক্ষক মন্ডলী ও এলাকার সুশীল সমাজসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগনের সহযোগিতায় উত্তর নারায়নপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিয়ে যে সকল পরিকল্পনা নিয়েছিলাম তাতে আমি আশা বাদী ছিলাম এই প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই একদিন মাদ্রাসা শিক্ষার মডেল মাইল ফলক হিসেবে গন্য হবে। সুতরাং আমিসহ যাদের বুদ্ধি পরামর্শ নিয়ে পথ এগিয়েছিলাম তারা সবাই আশাবাদী শুধু মাদ্রাসায় নয় মাদ্রাসার শিক্ষাকেও চুড়ান্ত পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করি ইনশাআল্লাহ।
এবিষয়ে ৩ নং সাগান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল-মামুন “দৈনিক সময়ের সমীকরণ” কে জানান, ১৯৯৩ সালে দাখিল মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষ গড়ার কারখানার পাশাপাশি বাস্তবমুখী শিক্ষায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী বাস্তবয়ানে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কার্যক্রম প্রশংসানীয় এবং ২০১৭ সালে এই উত্তর নারায়নপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসাটি জেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসাবে বিবেচিত তাই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি মঙ্গল কামনা করছি।
এবিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ৩ নং সাগান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী শাহিন রেজা সাঈদ “দৈনিক সময়ের সমীকরণ” কে জানান,মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে আমার ভূল ধারণা ছিল। কিন্তু মাদ্রাসার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সেই ভুল গুলো ভেঙে গেছে। আমি কলেজ,স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি কিন্তু এই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখে আমার মনে হচ্ছে শুধু এই মাদ্রাসায় মডেল না মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় যেন মডেল শিক্ষা ব্যবস্থা।