ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এ বছরের বর্ষবরণ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র আট কর্মদিবসের প্রস্তুতিতে যেভাবে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’-কে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে এই আয়োজন করলাম, যখন নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। অযৌক্তিকভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা সব বাধা অতিক্রম করেছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ যে উদ্দেশ্যে আমাদের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য পূরণে আমরা কাজ করেছি। জাতিসত্তার বৈচিত্র্য তুলে ধরা এবং দেশের সব জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করাই ছিল মূল লক্ষ্য। এবার সেই লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। গণমাধ্যম ছিল বলেই আমরা মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।’
বর্ষবরণ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটা ছিল প্রতিরোধের প্রকাশও। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের যে সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে, তাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই বর্ষবরণ ছিল তারই এক প্রতীকী ঘোষণা।’
উপাচার্য জানান, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করতে সময় ছিল মাত্র আট কর্মদিবস। তবুও অল্প সময়েই সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। তিনি বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের আমরা ইতোমধ্যেই জনগণের ভালোবাসা দিয়ে পরাজিত করেছি।’
শেষে তিনি সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, ‘এটা শুধু উৎসব নয়, এটা আমাদের জাতিসত্তা, সংস্কৃতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের এক প্রত্যয়।’