টিপু সুলতান, নন্দীগ্রাম, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারে সরকারি জায়গা লক্ষাধিক টাকায় পজিশন বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

তবুও আইন মানছে না। ২০০৭ সালে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারে সরকারি জায়গায় প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। এরপর শতাধিক দোকান মালিক দোকান ঘর করার জায়গা পাচ্ছিলো না। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাজ্জাক মানবিক বিষয় বিবেচনা করে নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের দোকান মালিকদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শর্তসাপেক্ষে দোকান মালিকদের অস্থায়ীভাবে দোকান ঘর করার জন্য পজিশন বরাদ্দ করে। যা কখনো বিক্রয়-হস্তান্তর বা রকম পরিবর্তন করা যাবে না। এমন শর্তে দোকান মালিকরা দোকান ঘর করার জন্য পজিশন নেয়। নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের হোটেল মালিক আবুল কালাম আজাদ হোটেল ব্যবসা করার জন্য পজিশন পায়। সে টিনশেট ঘর স্থাপন করে হোটেল ব্যবসা শুরু করে। এমতাবস্থায় নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবুল কালাম আজাদ তার ঘর লাদু মিয়ার নিকট লক্ষাধিক টাকায় বিক্রয় করে দেয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। লাদু মিয়া দোকান ঘর ক্রয় করে নেয়ার পর নিজের ইচ্ছেমতো রকম পরিবর্তন করে হোটেল ব্যবসা শুরু করেছে। এ বিষয়ে লাদু মিয়ার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ’র সাথে কথা বললে সে বলে আমার বড় ভাই ওই ঘর আবুল কালাম আজাদের নিকট থেকে নিয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা পজিশন বিক্রয়-হস্তান্তর বেআইনি। তাই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জিন্নাতুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই সব দোকান ঘর সরকারি জায়গায় রয়েছে। তা উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে