টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম,বগুড়া:
শাশুড়ির শতকোটি টাকা আত্মসাৎকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
৭অক্টোবর দুপুর ১২ টায় নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সামনে আনোয়ার হোসেন রানার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। তার বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে এ কুশপুত্তলিকা দাহ করে দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন সুমন, যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল বারী ও কামরুল হাসান প্রমুখ। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ জানিয়েছে, আনোয়ার হোসেন রানা আওয়ামী লীগের পদ-পদবী ব্যবহার করে নানা ধরণের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। যাহা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সে আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত। আনোয়ার হোসেন রানা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ সৃষ্টি করেছে। এমনকি ত্যাগী নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে। এছাড়াও হামলা-মারপিটসহ নানাভাবে অন্যায় অত্যাচার করে থাকে। তারদ্বারা অনেক সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। সে কারণে আনোয়ার হোসেন রানাকে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারসহ শাস্তির দাবি জানাই। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন রানার সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২/৪ জন লোক কিছু করলেই সেটা কী আওয়ামী লীগ করলো? আমাদের পারিবারিক ইস্যু নিয়ে ওদের কী? এরাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী। জানা গেছে, শতকোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন রানাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ই অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং ১৬ তারিখ ০৫/১০/২০২০ইং। ধারা ৪০৬/৪২০/৩৮৬/৩৮০/৪৬৮/৪৭১/৫০৬/৩৪ প্যানেল কোড ১৮৬০। বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম সেখ সরিফ উদ্দিনের স্ত্রী দেলওয়ারা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় তার জামাই নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা ও তার স্ত্রী আকিলা শরিফা সুলতানা খানম আঞ্জুয়ারাকে আসামী করা হয়। এছাড়াও সরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরী, সরিফ সিএনজি লিমিটেড ও দেলওয়ারা সেখ সরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট লিমিটেডের ৩ ম্যানেজার যথাক্রমে নজরুল ইসলাম, হাফিজার রহমান ও তৌহিদুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে।