ঘিয়ের একাধিক গুণ। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে পাচন শক্তি বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘি শরীরের অনেক উপকার করে।

কিন্তু বাজারে নকল ঘি’র ছড়াছড়ি। পরিস্থিতি এমন যে আসল ঘি খুঁজে বের করাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। ঘি’র নামে কী যে খাচ্ছি আমরা, তা আন্দাজ করাও কঠিন। ঘি’র নামে ক্ষতিকর রাসায়নিক খেয়ে শরীরের বারোটা বাজিয়ে চলছি।

আসল ঘি টিবিতে আক্রান্ত রোগীদের সেরে উঠতে সাহায্য করে। এমনকী, শরীরের দুর্বলতা সারিয়ে তুলতেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এসব গুণ রয়েছে আসল ঘি’র। নকল খেলে কিন্তু ভালোর বদলে খারাপ হবে বেশি।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আসল ঘি চিনবেন কী করে? তবে কয়েকটা সহজ উপায়ে চেনা যায় আসল ঘি। অনেক সময় রাসায়নিক মেশানো হয় ঘিতে। আবার অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু মিশিয়ে ঘিয়ের ওজন বাড়িয়ে দেয়।

এবার জেনে নিন নকল ঘি চেনার উপায়…

* এক চামচ ঘি হাতের তালুতে ফেলুন। তারপর সেই ঘি দুই হাতে ঘষে নিন। যদি দেখেন, দানার মতো কিছু ঘঁষা খাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন ঘি আসল নয়। এছাড়া ১৫ মিনিট পর যদি হাত থেকে ঘিয়ের গন্ধ উবে যায়, তাহলেও বুঝবেন ঘি নকল।

* একটি পাত্রে এক চামচ ঘি ঢালুন। তারপর তাতে কিছুটা চিনি ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দিন। ভাল করে মেশান। ঘিয়ের রঙ বদলে লাল হলে বুঝবেন রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। এক চামচ ঘিতে আয়োডিন ফেলেও দেখতে পারেন। ঘিয়ের রং নীল হলে বুঝবেন নকল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে