নিজস্ব প্রতিবেদক:

সীমান্তবর্তী ৮টি জেলাসহ আরো কয়েকটি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এরইমধ্যে নওগাঁ পৌরসভা এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

নজরদারিতে আছে খুলনা, নাটোর, বাগেরহাটসহ আরো কয়েকটি জেলা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফাইজারের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় রোগির চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের সীমান্তবর্তী ৮টি জেলা ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। খুলনায় একসপ্তাহ আগে সংক্রমণ ছিলো ২৩ শতাংশ। এখন তা গড়ে ২৫ শতাংশ। রাজশাহীতে একসপ্তাহ আগে সংক্রমণ ছিলো ৩২ শতাংশ। এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। এদিকে নওগাঁতেও ঈদের আগে সংক্রমণের হার ছিলো ৩০ শতাংশ। এখন প্রায় ৫০ শতাংশ। সাতক্ষীরায় সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের উপরে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় সাতদিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

সংক্রমণ বাড়ছে নাটোর ও বাগেরহাটেও। ২৪ ঘন্টায় নাটোরে করোনা সংক্রমণের হার ৫১ দশমিক এক দুই শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ উপজেলা এবং উখিয়ার ৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন চলছে।

এছাড়া ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অন্যদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে কিভাবে চিকিৎসা দেয়া হবে সে সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে