Dhaka ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় পুত্র, কন্যা, জামাতা ও স্ত্রী কর্ত্তৃক এক ব্যক্তিকে হত্যার প্রায় এক মাস পর চার জন গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • ৮৪ Time View

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় পিতাকে হত্যার দায়ে পুত্র, কন্যা ও জামাতা এবং স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হত্যার এক মাস পর থানায় পিতা নিখোঁজ হয়েছে এমন ডায়রী লিপিবদ্ধ করতে গেলে পুলিশের নিকট তাদের বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হলে পুুত্রকে আটক করে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুত্র, কন্যা, জামাতা এবং স্তু্রী মিলে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের তথ্য ফাঁস হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছে জেলা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আটককৃতদের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রকিবুল আকতার জানিয়েছেন জেলার পোরশা উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক গত ৫ফেব্রুয়ারী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে ৮ মার্চ পোরশা থানায় এ ব্যপারে একটি ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন তার পুত্র মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ খাইরুল ইসলাম।

পুলিশের এ ব্যাপারে সন্দেহ হলে উক্ত খাইরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে তারা সবাই মিলে বাবাকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে খাইরুলের কর্মস্থল চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রীরামপুর মাদ্রাসার পাশে একটি ড্রেনে রেখে আসে। পরে পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া লাশটি কয়েকদিন পর পুলিশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে নিহতের ভাই লাশটি সনাক্ত করেন। পুলিশ আটককৃতদের নওগাঁ কোর্টে প্রেরন করেছে।

হত্যাকান্ডের কারন হিসেবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে যে উক্ত আব্দুল খালেক সন্দেহ গত ৫ বছল ধরে তার স্ত্রী মোছাঃ ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনে। এই কারনে প্রায়ই তাকে মারপিট করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জানুয়ারী’২০২১ ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই সংবাদ পেয়ে ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মাকে বাড়িতে উঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে কিছুদিন আব্দুল খালেক প্রতিবেশীর বাড়িতে বস বাস করতে থাকে। এর মধ্যে ছেলে মেয়েরা বিষয়টি মিমাংসা করে বাবাকে তার মায়ের সারেথ সংসার করতে অনুরোধ করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে বাবাকে বোঝাতে পুনরায় বাড়িতে ডেকে আনে। কিন্দু তাদের বাবা কিছুতেই তাদের প্রস্থাবে রাজী না হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে খাইরুল ইসলাম, কন্যা নাজমা বেগম, জামাতা মোদাচ্ছেরে আলী ও স্রতী ফাহিমা খাতুন মিলে গলায় মাফলার জড়িয়ে শা্বসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং বস্তায় ভরে লাশ মোটরসাইকেলে করে খাইরুলের মাদরাসার পাশে একটি খালে ফেলে দিয়ে আসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

নওগাঁয় পুত্র, কন্যা, জামাতা ও স্ত্রী কর্ত্তৃক এক ব্যক্তিকে হত্যার প্রায় এক মাস পর চার জন গ্রেফতার

Update Time : ০১:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় পিতাকে হত্যার দায়ে পুত্র, কন্যা ও জামাতা এবং স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হত্যার এক মাস পর থানায় পিতা নিখোঁজ হয়েছে এমন ডায়রী লিপিবদ্ধ করতে গেলে পুলিশের নিকট তাদের বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হলে পুুত্রকে আটক করে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুত্র, কন্যা, জামাতা এবং স্তু্রী মিলে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের তথ্য ফাঁস হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছে জেলা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আটককৃতদের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রকিবুল আকতার জানিয়েছেন জেলার পোরশা উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক গত ৫ফেব্রুয়ারী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে ৮ মার্চ পোরশা থানায় এ ব্যপারে একটি ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন তার পুত্র মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ খাইরুল ইসলাম।

পুলিশের এ ব্যাপারে সন্দেহ হলে উক্ত খাইরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে তারা সবাই মিলে বাবাকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে খাইরুলের কর্মস্থল চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রীরামপুর মাদ্রাসার পাশে একটি ড্রেনে রেখে আসে। পরে পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া লাশটি কয়েকদিন পর পুলিশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে নিহতের ভাই লাশটি সনাক্ত করেন। পুলিশ আটককৃতদের নওগাঁ কোর্টে প্রেরন করেছে।

হত্যাকান্ডের কারন হিসেবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে যে উক্ত আব্দুল খালেক সন্দেহ গত ৫ বছল ধরে তার স্ত্রী মোছাঃ ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনে। এই কারনে প্রায়ই তাকে মারপিট করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জানুয়ারী’২০২১ ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই সংবাদ পেয়ে ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মাকে বাড়িতে উঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে কিছুদিন আব্দুল খালেক প্রতিবেশীর বাড়িতে বস বাস করতে থাকে। এর মধ্যে ছেলে মেয়েরা বিষয়টি মিমাংসা করে বাবাকে তার মায়ের সারেথ সংসার করতে অনুরোধ করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে বাবাকে বোঝাতে পুনরায় বাড়িতে ডেকে আনে। কিন্দু তাদের বাবা কিছুতেই তাদের প্রস্থাবে রাজী না হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে খাইরুল ইসলাম, কন্যা নাজমা বেগম, জামাতা মোদাচ্ছেরে আলী ও স্রতী ফাহিমা খাতুন মিলে গলায় মাফলার জড়িয়ে শা্বসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং বস্তায় ভরে লাশ মোটরসাইকেলে করে খাইরুলের মাদরাসার পাশে একটি খালে ফেলে দিয়ে আসে।